স্বর্ণ আমদানির পথ খোলা থাকা উচিত
ড. আবু আহমেদ
রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য বিদেশি শ্রমিকদের অনেক সুবিধা দেওয়া আছে। তারপরও আরও কিছু সুবিধা তাদের দিতে হবে। এখন বিদেশি শ্রমিকরা বিনিয়োগ করতে পারে শেয়ার বাজারের প্রাইমারি মার্কেটে। এনআরবি বন্ড তারা লোকাল কারেন্সি অথবা ডলারে কিনতে পারে। এতে প্রফিট রেইট খুব বেশি। চাইলে স্টক মার্কেটও করতে পারে। আবার সরকার যদি জমি কিনতে দেয় সেখানেও সেফারেট সিস্টেম দেওয়া আছে। এর থেকে আর বেশি কিছু করার আছে বলে আমার মনে হয় না। হু-ির যে বিষয়টি, এটি হয় একমাত্র রেইটের কারণে। রেইট একটু বেশি দিয়ে হু-ি ব্যবসায়ীরা তাদের থেকে কিনে নিচ্ছে। এখানে আমাদের সরকারের কিছুটা দুর্বলতা আছে। গোল্ড মার্কেটটি যদি খোলে দেওয়া হয়, তাহলে আর হু-ি ব্যবসায়ীরা এতোটা স্বচ্ছল হতে পারবে না। কারণ, হু-ির টাকাটা বেশি অবৈধ গোল্ড ব্যবসায় চলে যায়। তারা সরাসরি এলসি করতে পারে না বলে হু-ির মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে। তাই গোল্ডের রপ্তানি সহজ করলে আমাদের দেশেও একটি গোল্ড ইন্ডাস্ট্রিজ হত। হু-ি ব্যবসাটিও কমত। আর একটি হচ্ছে, ড্রাগ ব্যবসা। বাইরের দেশ থেকে ড্রাগ আমদানি করার জন্যও হু-ির টাকা কাজে লাগায়। যতদিন পর্যন্ত ইকোনিমিতে এই সমস্যাগুলো থাকবে, ততদিন পর্যন্ত হু-ির ব্যবসাটি চলবে। তাই গোল্ড মার্কেট খুলে দিয়ে ড্রাগ আমদানি বন্ধ করতে হবে। তাহলে আমাদের রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাবে। দেশে যত ধরনের জিনিস আমদানি হয়, সব কিছু সহজ করে দিলে হু-ির ব্যবসা বন্ধ হবে। আর হু-ি বন্ধ হলে বিদেশি শ্রমিকরা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাবে।
পরিচিতি : অর্থনীতিবিদ
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ