মহিউদ্দিন খান আলমগীর এখন কোথায়?
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
আমাদের দীর্ঘ ৪ বছরে দেশের উন্নতি না হলেও আমাদের দেশের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা উন্নতি বলতে যে বুঝি, মানব সম্পদ উন্নয়ন কিন্তু সে মানব সম্পদের কোনো উন্নয়ন হয়নি, অনুন্নয়ন হয়েছে, সেতু হয়েছে, বিভিন্ন ফ্লাইওভার রাস্তা হয়েছে। যদি উন্নয়ন হতো, আগে ঢাকা শহরে উত্তরা থেকে গুলিস্থান যেতে সময় লাগত ১ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট কিন্তু সেখানে এখন সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। আগে ঢাকা থেকে কুমিল্লা যেতে সময় লাগত ২ থেকে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট কিন্তু এখন সময় লাগে ৫ ঘণ্টা। এটা আমাদের দেশের মানুষের জন্য উন্নয়ন নয়। সেটা আমাদের দেশের জনগণই বিবেচনা করুক। এর পর বড় বড় প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিত সমস্ত ফ্লাই ওভার। সমস্ত রাস্তা ঘাটে অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান সবচেয়ে বেশি ব্যয় বহুল। ফ্লাই ওভারে সর্বোচ্চ খরচ করা হয়েছে বাংলাদেশে এটা একটা বিশ্ব রেকট। এসব দিক দিয়ে বিবেচনা করতে গেলে দেখা যাবে উন্নতি হয়েছে, আমাদের দেশের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের, তারা বিভিন্ন প্রকল্প করার জন্য টাকা নিয়ে সেই টাকা দিয়ে তারা মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম বিলাস বহুল তৈরি করছে। পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় ইনভেস্ট করেছে। আবার যদি ব্যাংকের কথা বলা হয়, ব্যাংকগুলোকে শেষ করে দিয়েছে, এ প্রাইভেট ব্যাংকগুলো দিয়েছিলেন বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের, আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে কারা কারা আওয়ামী লীগ করে, তাদেরকে ব্যাংক দিয়েছেন। তারা কি করেছে, ২ বছর ৩ বছর পরে চুরি করে, বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানির নাম দিয়ে অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে শেষ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মীরা। আমাদের অর্থনীতিকে শেষ করে দিয়েছে। আমাদের দেশের অর্থনীতির কুফলটা সাধারণ জনগণ বুঝতে পারবে। তখন জনগণ দেখতে পারবে এই সব নেতা-কর্মীরা এদেশে নেই। যেমন আমাদের মহিউদ্দিন খান আলমগীর নেই দেশে নেই, সে এখন কোথায় আছে তার কোনো খোঁজ নেই। এরপর ফারমার্স ব্যাংকের অন্যান্য পার্টনাররা কোথায় আছে তার খোঁজ জানি না, কমার্শিয়াল ব্যাংকের মূল মালিকরা কোথায় আছে আমরা জানি না। তারপর বেসিক ব্যাংকের মালিক আব্দুল কাদের বাচ্চুকে ডাকা হলো ১ দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কিন্তু সে আসতে পারবে না, সে বলল আমি অসুস্থ। পরে তাকে ডাকার সাহস দেখাল না দুদক। কিন্তু এবি ব্যাংক নিয়ে কত তোড়পাড় চলছে। এই যে মানুষকে যন্ত্রণা দিয়েছে, মানুষের অর্থনৈতিক লুটপাট করে খেয়েছে, এর পর দিন দিন গুম, খুন বেড়েই চলেছে, এই হলো বর্তমানে দীর্ঘ ৪ বছরের বিফলতা ।
পরিচিতি : যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি
মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ