গুম, খুনের কারণে সরকারের সাফল্য প্রশ্নবিদ্ধ
নিরাপত্তাগত দুটি দিক আছে। একটি হচ্ছে, সরকার জনগণকে কতটুকু নিরাপত্তা দিতে পেরেছে আর একটি কতটুকু দিতে পারেনি। বর্তমান সরকারের এই চার বছরের প্রথম দিকে আমরা দেখেছি, দেশে জঙ্গীদের একটু বেশি তৎপরতা ছিল। যার জন্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রচ- রকমের হুমকী সৃষ্টি হয়েছিল। ধর্মীয় উগ্রবাদীরা নিরিহ মানুষের উপর হামলা করেছে। বিশেষ করে, নাটোর, ঝিনাইদহ, রংপুর, ঢাকা এসব এলাকার যারা মুক্তমনা মানুষ ও সংস্কৃতিমনা নিরাপরাধ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে। এটি ছিল ২০১৮ সালের পরে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি। সরকার ও প্রশাসন এই হুমকিগুলোকে সফলভাবে মোকাবিলা করেছে। গত দেড় বছরে আর তেমনভাবে তারা কোনো আক্রমন করতে পারেনি। তারা বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা চালালেও আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর কারণে তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। গত দেড় বছরে এই দিকে আমরা স্বস্থি পেয়েছি। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিরা আক্রমন চালালেও আমাদের দেশে গত দেড় বছরে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে আমরা যে বিষয়টি বলতে পারি, গুম, খুনের বিষয়টি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও মিডিয়ায় আমরা দেখেছি। এটি নিয়ে সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতার জায়গাটি মাঝামাঝি স্থানে আছে। সরকার এই দিকে তেমন ভালোভাবে সফল হতে পারেনি। কিছু কিছু গুম হওয়া মানুষ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু তাদের থেকে কোনো ধরনের কথা বা তথ্য বের করতে পারেনি। যার জন্য সরকারের সাফল্যটি প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছে।
অনেকে উদ্ধার হয়নি। অনেকের খবর সঠিকভাবে দিতে পারেনি। এই জায়গায় সরকারের সবচেয়ে দুর্বল পয়েন্ট ফুটে উঠেছে। তাই সরকার ও প্রশাসনকে এই ব্যাপারে আরও জোরদার হওয়া দরকার। নিরাপত্তার আরও একটি দিক হচ্ছে মাদক। মাদক আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি দেশের জননিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। মাদক যুব সমাজকে ক্ষয় করে ফেলে। সরকার এটির ভালো কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে এমন কিছু আমাদের নজরে আসেনি। তাই সরকারকে এই দিকটিতেও ভালোভাবে নজর দিতে হবে। মাদকের মতো ভয়ঙ্কর এই দিকটি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ ও যুবসমাজ একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।
পরিচিতি : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ