বর্তমান সরকার শিল্পীদের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই করেছে, যা প্রশংসনীয়। চলচ্চিত্র সঙ্গীতের দিকপাল আবদুল জব্বার, লাকী আখন্দ, বারী সিদ্দিকী, এরা যখন অসুস্থ হয়েছেন সরকার এদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। আমাদের আরেকটু দাবি ছিল, যেটা সবাইতো রাজনীতি করে না। আবার সরকার পার্টিও করে না। আমরা চাই, যে কোনো শিল্পী সে যে দলই করুক না কেন, তাকে যেন শুধু শিল্পী হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
সরকারি দল না করলে শিল্পীদেরকে কালো তালিকা ভুক্ত করে দেওয়া হয়। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া উচিত। শিল্পী কিন্তু সৃষ্টি হয় না। শিল্পী জন্ম নেয়। এটা ঐশ্বরিক দান। চেষ্টা করে ঘষে-মেজে শিল্পী বানানো যায় না। জন্ম থেকেই শিল্পী হয়ে জন্ম নেয় একজন মানুষ। তার আচার-ব্যবহার, তার সৃজনশীলতা, সংগীতের প্রতি তার প্রেম এ সবই ঈশ্বর প্রদত্ত। কোনো ফ্যাক্টরি থেকে বা দোকান থেকে অর্ডার দিয়ে কোনো শিল্পী পাওয়া যায় না। চর্চা করেও শিল্পী হওয়া সম্ভব নয়। সূরের সাথে ভালোবাসা থাকতে হবে। শিল্পীদেরও দল করার ইচ্ছা হতে পারে। এদের প্রতি রাজনৈতিক কোনো চাপ সৃষ্টি না করাই উচিত। আত্মপ্রকাশের সুযোগ আছে বলেই কোনো কোনো শিল্পী বিশেষ দল করে থাকে। সরকারের দায়িত্ব যে দলই থাকুক না কেন, আমার আবেদন থাকবে শিল্পী সত্তাটিকে অবাধ বিচরণের সুযোগ দিন। সবাই যে এক দল করবে তা নয়। একজন কবি, একজন খেলোয়াড়, একজন শিল্পী যেন দলের আক্রমণের শিকার না হয়।
পরিচিতি : সঙ্গীত শিল্পী
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ