সন্তানের প্রতি আদর্শ মায়ের কর্তব্য
ফাতেমা আক্তার সিক্তু
বেহেশতে যাবার কতো সাধনা মানুষের। কতো ত্যাগ, ইবাদত -বন্দেগি, অথচ আল্লাহ পাক সেই জান্নাতকে রেখে দিয়েছেন মায়ের পদতলে।এতো সম্মানিতা যাকে স্বয়ং আল্লাহ করে দিয়েছেন, তাহলে কেমন হতে হবে সেই মাকে? কেমন হবে মায়ের দায়িত্ব -কর্তব্যগুলো? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করনে : প্রতিটি নবজাতক ইসলামের সুন্দর প্রকৃতির ওপর জন্মগ্রহণ করে অতঃপর তার বাবা-মা তাকে ইহুদি বানায়, অথবা খ্রীষ্টান কিংবা অগ্নিপূজক বানায়। সন্তান জন্মের পর থেকে যেহেতু অধিকাংশ সময় মায়ের সাথেই থাকে তাই মায়ের সুযোগ হয় সন্তানকে নিজের মতো করে গড়ে তোলার। এক্ষেত্রে, মা নিজে যদি ধর্মানুরাগী হন তবেই কেবল সন্তানকে আদর্শ মানুষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। পারিবারিক জীবনে মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । সন্তান গর্ভে ধারণ ও লালন-পালনের সামগ্রিক দায়িত্ব মায়ের একার ওপর নির্ভরশীল। মহান আল্লাহ বলেন “মা সন্তানকে অতি কষ্ট সহ্য করে র্গভে ধারণ করেন এবং প্রসব করেন।” (লুকমান-১৫) এখানইে শেষ নয়। মায়ের দায়িত্ব প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, “মা সন্তানকে র্পূণ দু’বৎসর মাতৃদুগ্ধ দান করবে।” (বাকারা-২৩৩) মানুষ তার মায়ের অনুকরণে কথা বলতে শেখে, তাই মায়ের কাছে প্রথম শেখা ভাষাকে মাতৃভাষা বলে। একজন মা সুভাষিনী হলেই সন্তানরাও মিষ্টভাষী হয়। নৈতিক চরিত্র ও মূল্যবোধের শিক্ষা সন্তানরা মায়ের কাছ থেকেই পেয়ে থাকে।