এস এম নূর মোহাম্মদ : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের তফসিলের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচনের সার্কুলারের কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে। পৃথক দুটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ স্থগিতাদেশ দেন। একইসঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য ইসি ঘোষিত তফসিল কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণার এক সপ্তাহের ব্যবধানে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক দুটি রিট আবেদন করা হয়। একটি রিটের আবেদনকারী ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। যিনি ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। অপর রিট আবেদনকারী বেরাইদ ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গতকাল রিটকারীরা শুনানিতে বলেন, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত ভোটার তালিকাই প্রকাশ করা হয়নি। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে সেটা কীভাবে সম্ভব, এমন প্রশ্নও তোলেন তারা।
এদিকে, রিট আবেদনকারী আতাউর রহমানের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, নতুন করে ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হয়ে উত্তর সিটি করপোরেশন সম্প্রসারিত হয়েছে। এর ফলে ওয়ার্ড সংখ্যা ৩৬ থেকে ৫৪-তে দাঁড়িয়েছে। আর নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মেয়াদ কত দিন হবে, তা উল্লেখ নেই। এখানে আংশিক মেয়াদে নির্বাচনের সুযোগ নেই।
আতাউর রহমানের অপর আইনজীবী আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা পঁচাত্তর ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, করপোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।’ অথচ উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টির ওয়ার্ড ধরলে কাউন্সিলরের সংখ্যা পঁচাত্তর শতাংশ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই তো গঠিত হচ্ছে না। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম