মবিনুর রহমান: হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে অভিনব উদ্যেগ পরিচালনা করছে বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ। তার নেয়া উদ্যেগের ফলে এখন আর বিমানবন্দরে যেখানে সেখানে কেউ বর্জ্য ফেলছে না। কারণ ব্যবহার শেষে হলেই যেকোন পণ্যের মোড়ক ফেরত দিলে ক্রেতা পাচ্ছেন পাঁচ টাকা। আর কুড়িয়ে পাওয়া বর্জ্য দোকানদারকে ফেরত দিলে পরিচ্ছন্ন কর্মী পাচ্ছে ১০ টাকা। এছাড়াও বিমানবন্দর এলাকার স্টেশনারি দোকানগুলোতে ঝুলছে কড়া নির্দেশনার ফেস্টুন। যেখানে লেখা রয়েছে, এয়ারপোর্ট এলাকায় যেকোন ধরণের ময়লা/ বর্জ্য নির্ধারিত ডাস্টবিনের বাহিরে ফেললে ৫ শত টাকা জরিমানা অথবা ১ বছরের কারাদন্ড হতে পারে। আর যদি খাওয়ার পর খালি বোতল, কাপ, প্যাকেট ইত্যাদি ফেরত দিয়ে অথবা দোকানের বিনে ফেলে তাহলে ৫ টাকা ফেরত নেয়ার নির্দেশ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, তিন বছর ধরে তিনি শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত আছেন। তিনি লক্ষ করেছেন বিমানবন্দরে এসে যাত্রী অথবা স্বজনেরা কিছু খেয়ে বর্জ্য বিনে ফেলছে না। ইচ্ছা মত যেখানে খুশি সেখানে তারা বর্জ্য ফেলছে। বর্জ্যরে কারণে এয়ারপোর্ট নোংরা হচ্ছে। বাড়ছে মাছি ও বিড়ালের উপদ্রব। তাদের মুখে বলেও কোন কাজ হচ্ছিল না। কফি খেয়ে কফির কাপ, চিপস, বিস্কুটের প্যাকেটসহ বিভিন্ন বর্জ্য এয়ারপোর্ট এলাকা নোংরা করতো। ভাবলাম কী করা যায়। অনেক ভেবে একটা প্রজেক্ট দাঁড় করালাম।
ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতিটি পণ্যে থেকে বাড়তি পাঁচ টাকা আদায় করা হবে। প্রতিটি পণ্যের বর্জ্য দোকানদারকে ফেরত দিলে অথবা ডাস্টবিনে ফেললে সেই পাঁচ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, গত ১৫ অক্টোবর এই প্রজেক্ট বৃত্তান্ত লিখেছিলাম, ১৬ অক্টোবর শুরু করছিলাম। আজ ইহা একটি সফল প্রজেক্ট। সবাই এই প্রজেক্টকে স্বাগতম জানিয়েছেন। যাত্রী ও স্বজনরাও মানছেন।