বইমেলা : টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে দৃষ্টিনন্দন তোরণ
মবিনুর রহমান : মাটি খুঁড়ে সারি সারি বাঁশ পোতা হচ্ছে। কড়াত দিয়ে চলছে কাঠ কাটার কাজ। নকশা অনুযায়ী চলছে প্যাভিলিয়ন, স্টল তৈরীর কাজ। ইট বিছিয়ে তৈরী করা হচ্ছে পায়ে হাটার রাস্তা। পানি জমে থাকা স্থানগুলোয় মাটি ভরাট করা হচ্ছে। গককাল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহওয়ার্দী উদ্দ্যান ঘুরে এভাবেই একুশে গ্রন্থমেলার প্রস্তুতির কাজ চোখ পড়লো। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হবার পরও অফিস করছেন, বাংলা একাডেমির পরিচালক (বিক্রয় ও প্রকাশনা) ও গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ। তার কক্ষে প্রবেশ করেই দেখা গেল সহকর্মীদের নিয়ে একুশের গ্রন্থমেলা মেলার স্টল, প্যাভিলিয়নের রুপ নকশা তৈরী করছেন। মেলার প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, মেলঅর কাজ দ্রত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। গতবারের চেয়ে এবার মেলার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতবার মেলার স্টল সংখ্যা ছিল ৫ শ পঞ্চাশটি এবার এর সংখ্যা দাঁড়াবে ৬ শ পঞ্চাশে। ২৩ জানুয়ারি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে স্টল বুঝিয়ে দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। জালাল আহমেদ জানান, এবারই প্রথম মেলার মূল প্রবেশ পথে লেখক, প্রকাশক, সাংবাদিক ও জেষ্ঠ্য নাগরিকদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ তৈরী করা হচ্ছে। । প্রশ্ন থাকতে পারে লেখক চেনা যাবে কীভাবে। যদি লেখকরা মনে করেন তাদের একটি লেখক পরিচয় পত্র থাকা দরকার তাহলে তাদের বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে পরিচয় পত্র প্রদান করা হবে। এছাড়া এবার মেলায় গতবারের
মত পর্যাপ্ত বসার জায়গা থাকবে। ইটের তৈরী রাস্তা থাকবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা ও হুইল চেয়ারর থাকবে। লিটল ম্যাক চত্বর যেটা আগে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে থাকতো, সেটা এবার সোহওয়ার্দী উদ্দ্যানে যাচ্ছে।
তিনি জানান, শিশু প্রাঙ্গনটা এবার সম্প্রসারণ হচ্ছে। গতবার ছিল ৭ টি এবার হবে ৭৩ টি। এছাড়াও নামাযের ব্যবস্থা থাকবে। টাইালস করা একাধিক টয়লেটের ব্যাবস্থা থাকবে।
এছাড়াও প্যাভিলিয়নগুলো মেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেয়া হবে। মেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে প্যাভিলিয়ন ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। কারণ প্যাভিলিয়নগুলো খুব দৃষ্টি নন্দন করে সাজানো হয়।
পরিবেশ গতবারের চেয়ে উন্নত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে দৃষ্টি নন্দন তোরণ তৈরী করা হবে। এলইডি স্ক্রিন সহ মেলাকে নান্দনিক রুপে সাজানো হবে।
মেলায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থার জানিয়ে জালাল আহমেদ জানান,
আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে একাধিক বৈঠক করেছি তারা। এবারও মেলা প্রাঙ্গণ থেকে টিএসসি ও শামসুন্নাহার হল হয়ে শাহবাগ মোড় এবং অন্যদিকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় থাকবে। একই সঙ্গে বাংলা একাডেমির অভ্যন্তরে ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসানো হবে আর্চওয়ে।