নির্বাচনি আবহ সৃষ্টি হলেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়া উচিত
শাহানুজ্জামান টিটু : নির্বাচনি আবহ সৃষ্টি হলে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়া উচিত হবে বলে মনে করেন ঢাবির সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিনসহ কয়েকজন বিশিষ্টজন। তারা মনে করেন বর্তমানে দেশের যে অবস্থা সেখানে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। তাই একটা ফাঁকা জায়গায় রূপরেখা দেওয়াটা কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে।
ঢাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদ মনে করেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ এখন বিদ্যমান নেই। তাই বিএনপি মহাসচিব যে কথাটি বলেছেন সেটার সঙ্গে আমিও একমত। কারণ নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন। কোনো সুনির্দিষ্ট কথা তারা বলছেন না। তাহলে কিভাবে হবে। ফাঁকা মাঠে নির্বাচনের রূপরেখা দিয়ে কি কোনো লাভ হবে? এটাতো দলের কৌশল। তারা তো সুনির্দিষ্টভাবে বলেননি নির্বাচনের রূপরেখা কবে দেওয়া হবে। আমি যতটুকু জানি বিএনপির নেতারা বলেছেন শিগগিরই দেওয়া হবে। আর বিএনপি মহাসচিব বলে দিয়েছেন।
ঢাবির অধ্যাপিকা তাজমেরী ইসলাম বলেন, এখনো সময় হয়নি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ার। গত বছর দেওয়া হতে পারে বলে বিএনপির নেতা বলেছিলেন। কিন্তু রূপরেখা প্রকাশ করার মতো সেই পরিবেশ তো ছিল না। বিএনপি তো বারবার বলে আসছে তারা নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার চায়। সেই বিষয়ে ক্ষমতাসীনরা তো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আগে রূপরেখা দেওয়া হলে কি হবে, পরে দিলেও কি কোনো ক্ষতি আছে, নেই। তাই আমি মনে করি আরেকটু সময় নিয়ে নির্বাচনের আবহের মধ্যেই এটা প্রকাশ করা উচিত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, বিএনপি হয়তবা সহায়ক সরকারের রূপরেখা নাও দিতে পারে। কারণ দলটি এর আগে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে বলেছে, যতগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়েছে তার মধ্যে থেকে যারা জীবিত আছেন তাদেরকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, বিএনপি এই বিষয় নিয়ে কোনো চিন্তা বা হোমওয়ার্ক করেনি। এজন্যই তারা যথাসময়ের কথা বলছেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তারা যেটা বোঝাতে চাচ্ছে একটা নিরপেক্ষ সরকার চায়। নির্বাচনী মাঠে একজন নিরপেক্ষ রেফারি তারা চান। আমার মনে হয় যতদিন গড়াবে ততই দল দুটির মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে। যেমন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দুটি কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উনি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না আর নির্বাচনকালীন সরকার হবে ছোট পরিসরে। এটা আমি মনে করি নির্বাচনকালীন একটা ছাড়। এটা বিএনপির পক্ষেই গেল। তাই রূপরেখা আগে-পরে প্রকাশের বিষয় নয় বরং বিএনপির এখন খেয়াল করা উচিত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো রয়েছে সেগুলো বিশেষ কোর্টে নয় নিয়মিত কোর্টে যাতে হয়। কারণ প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে হেরেছেন কিন্তু অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তিনি সফলভাবে খেলছেন।