চালের দাম কমছে না, সবজির বাজারও চড়া
মাসুদ মিয়া : চালের দাম যখন বাড়তি তখন ব্যবসায়িরা বলছিলেন, আমন উঠলেই চালের দাম কমে আসবে কিন্তু চালের দাম কমেনি। দাম বাড়তে বাড়তে এখন ক্রেতাদের প্রায় নাভি:শ্বাস অবস্থা। এখন অপেক্ষা বোরোর। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ৩ মাস। ব্যবসায়িরা এখন বলছেন, বোরো না আসা পর্যন্ত দাম বাড়তি থাকবে । এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী ছানোয়ার হোসেন বলেন, কয়েক মাস ধরে চালের দাম বাড়তি, নতুন চাল না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে কিছু মোটা চালের দাম কমলেও রসিদের মিনিকেটের দাম কমেনি। চালের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ টাকা, বিআর-২৮ ৪৭ টাকা ও পারিজা-স্বর্ণা যথাক্রমে ৪৩ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৭০ টাকা, মিনিকেট চাল ৬৫ টাকা, বিআর-২৮ ৫০-৫৫ টাকা ও স্বর্ণা-পারিজা বিক্রি হচ্চে ৪৬ টাকা করে।
এদিকে, শীতের সবজির ভরা মৌসুমে হঠাৎ সবজিতে কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকায় বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে পেয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজার একবার বাড়তির দিকে হলে দাম আর কমে না। ভরা মৌসুমে হঠাৎ শীতের সবজির দাম বাড়ছে। মিরপুর পিরেরবাগ বাজারে ক্রেতা কামাল বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরেই সবজির দাম চড়া। গত মাসেও যে টমেটো ৪০ টাকা কেজি কিনেছি এখন সেই টমেটা কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। ৩০ টাকার শিম হয়েছে ৬০ টাকা। এখন শীতের সবজির ভরা মৌসুম। এখন কেনো দাম বাড়বে। এটা কিছুতেই মানা যায় না।’
দাম বাড়ার তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে ফুলকপি। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪-৫০ টাকা, শালগম ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, মুলা ২০ থেকে ২৫ টাকা। সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে মিরপুর ব্যবসায়ী হায়দার হোসেন বলেন, ‘এবার অতিবৃষ্টি ও শীতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় মৌসুমে সবজি সরবরাহ কম হচ্ছে।’
তবে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। আমদানি করা পেঁয়াজ আগের সপ্তাহের মতোই ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।