সুশান্ত সাহা ও মোস্তাফিজুর রহমান : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার বিকাল ৪টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চতুর্থ তলায় আইসিইউ ফটকে এ ঘটনা ঘটে। আহত আনসার সদস্য সাইফুল ইসলাম ও মিরপুর ১৪ পুলিশ লাইনের কনস্টেবল মাহাবুবুল আলমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রুবেল নামের এক পুলিশ সদস্য অ্যাপেনডিসাইটিসের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের ২১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন। বুধবার তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এরপর তাকে আইসিইউর পাশে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়। তার সেবার দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল মাহবুবুল আলম।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, বিকালে রুবেলকে দেখার জন্য আইসিইউর গেট দিয়ে ঢুকতে চাইলে দায়িত্বরত আনসার সাইফুল কনস্টেবল মাহবুবকে বাধা দেন। পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পরও ভেতরে ঢুকতে হলে ৫০ টাকা দাবি করেন সাইফুল। তখন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী কিছু ওষুধপত্র কিনে এনে আবার ঢুকতে চাইলে আনসার সদস্য মাহবুবের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে ৪ থেকে ৫ জন আনসার সদস্য মিলে তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেছেন কনস্টেবল মাহবুব।
ঘটনার পর হাসপাতালের বিকালের শিফটে দায়িত্বে থাকা সকল আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া ঢামেকের উপ-পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ কান্তি পালকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনÑ পুলিশের রমনা জোনের এডিসি আজিমুল হক, এসি সাজ্জাদ এবং আনসারের ডিডি কামরুল ইসলাম ও এডি তামিমা সুলতানা। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসারের প্লাটুন কমান্ডার বাদল হাওলাদার জানান, এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে মারামারি ঘটনা শুনেছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মারুফ হেসেন সরদার বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি ব্যক্তিগত পর্যায়ের। তবে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী