জান্নাত কামনার পদ্ধতি আনিকা তাহসিন সাইয়্যেদা
মুসলিম বলতেই তার স্বপ্ন চাওয়া জান্নাত। জান্নাত পরকালীন সুখ আর সুখময়তার আবাসস্থল। জান্নাতিরা অনন্ত অসীম সুখ-স্বাচ্ছন্দতায় থাকবে। দয়ময় প্রভূর ভালোবাসায় সীক্ত হবে। রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা যখন পার্থনা করবে তখন জান্নাতুল ফিরদাউস পার্থনা করবে। কেননা, এটি সর্বোৎকৃষ্ঠ এবং সর্বোচ্চ জান্নাত। (বুখারি-২৭৯০) কিভাবে চাইবেন আল্লাহর কাছে এই জান্নাত। রাসুল (সা.) দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। আল্ল-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা জান্নাতাল ফিরদাউস। হে আল্লাহ! আমাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান কর।
চাওয়ার মত চাইলে আল্লাহর থেকে সবই পাওয়া যায়। জান্নাত চাইবেন কখন কিভাবে। এই জান্নাতই যেহেতু আমাদের সবচেয়ে বড় চাওয়া মহান রবের কাছে তাই সবসময় এই দোয়া করতে হবে। তবে বিশেষ কিছু সময় রয়েছে যখন দোয়া অবশ্যই কবুল হয়, সেই সময়গুলোতে এই দুয়াটা বারবার করা। আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়-রাসুল (সা.) বলেছেন : আযান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে দুআ ফেরত দেয়া হয় না। সুতরাং তোমরা দুআ কর। (তিরমিজী ও আহমদ) আজান হওয়ার পড় মসজিদে নামাজ আরম্ভ হওয়ার আগ পর্যন্ত। সিজদার মধ্যে দোয় করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় যখন সে সেজদারত থাকে। সুতরাং তোমরা এ সময় বেশি করে দুআ কর। (আবু দাউদ ও নাসায়ী)। সেজদায় কুরআনের আয়াত বলা নিষেধ কিন্তু যে কোন দোয়া যে কবুল হওয়ার জন্য কতটা উপযোগী সেটা তো বুঝতেই পারছেন, জীবনের সব সলাতের সব রাকাতে সব সেযদাতেই সেযদার দোয়া বলার পড় এই দোয়াটা করবেন ইনশা আল্লাহ।
জুমআর দিনের শেষ অংশে রাসুল (সা.) বলেন :জুমআর দিন বারটি ঘন্টা। এর মধ্যে এমন একটি সময় আছে, সে সময় একজন মুসলিম বান্দা যা আল্লাহর কাছে চায়, তা-ই তিনি দিয়ে দেন। তোমরা সে সময়টি আছরের পর দিনের বাকী অংশে তালাশ কর। (আবু দাউদ, নাসায়ী) প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে রাসুল (সা.) বলেছেন, আমাদের প্রতিপালক প্রতি রাতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন, যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে। তখন তিনি বলেন, কে আছে আমার কাছে দুআ করবে আমি কবুল করব? কে আমার কাছে তার যা দরকার প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দিয়ে দেব? কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি ক্ষমা করে দেব।(বুখারি) আল্লাহু আকবার, মহান রব আমাদের পার্থনা কবুল করার জন্য নিজে থেকে আহ্বান করেন শেষ রাতের দিকে সুতরাং তখন উঠে তাহাজ্জত সলাতের সেজদাতে বা এমনি হাত তুলে তার কাছে চাইলে কি তিনি কবুল করবেন না? অবশ্যই কবুল করবেন। আপনি আপনার সন্তান, স্ত্রী, স্বামী, বাবা, মা, আত্মীয় পরিজন যাদের কল্যাণ চান অন্তত তাদের বিষয়টা অবগত করুণ। জান্নাতের সেই সুখময়তায় আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন।