সমকামিতা প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি মারুফ বিল্লাহ তাক্বী
চৌদ্দশত বছর পূর্বে পুরো বিশ্ব ছিলো অন্ধকারে আচ্ছন্ন, তাই ইসলামি ইতিহাসে সেই যুগকে জাহেলি যুগ বলা হয়। কারণ পৃথিবীতে তখন সভ্যতা বলতেই ছিলো সব অসভ্যতা। সভ্যতার কোন নাম নিশানা ছিলোনা সেই যুগে। যখন মুহাম্মদ সা. এই অন্ধকারচ্ছন্ন দুনিয়ায় দ্বীনের প্রদিপ জ্বেলেছেন তখন থেকেই এই সমাজ, এই পৃথিবী নতুন করে সভ্যতায় ফিরে এসেছে। সে যুগের অসভ্য সমাকামিতারও প্রতিরোধ করেছিলেন নবী সা.।
বর্তমানে পশ্চিমা সভ্যতায় সবচাইতে নিকৃষ্ট কাজ হলো “সমকামিতা । সমকামীতা বলা হয় নিজ লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন অথবা সহজ ভাষায় বললে পুরুষের সাথে পুরুষের ও মহিলার সাথে মহিলার যৌন সম্পর্ক কিংবা রোমান্টিক সম্পর্ক। সমকামিতার মধ্যে দুটি পদ আছে, যারা শুধুই সমকামী আর আরেকটি হল উভয়কামীতার মধ্যে নিজ লিঙ্গের প্রতি ঝোঁক একটু বেশি থাকে। বিজ্ঞানীরা সমকামিতার প্রকৃত কারণ জানেন না, কিন্তু তারা বিশ্বাস করেন যে, জিনগত, হরমোনগত এবং পরিবেশগত কারণসমূহের এক জটিল আন্তঃক্রিয়ার ফলে এটি ঘটে থাকে। বিজ্ঞানের উল্লেখ্য কারণের মাঝে পরিবেশগত কারণটা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আমাদের মাঝে একটি প্রবাদ বাক্যের প্রচলন রয়েছে। “ব্যবহার বংশের পরিচয়” প্রবাদটা কয়েকটা শব্দে শেষ হলেও এই প্রবাদের মাঝে লুকিয়ে আছে অনেক কথা। প্রবাদটা বলার কারণ, একজন মানুষ শিশুকাল থেকে শুরু করে আজীবন যাদের সাথে কাটাবে তাদের প্রায় স্বভাবই তার ভিতরে পাওয়া যাবে, আর এটাই বাস্তবতা। উদাহরণ স্বরুপ আমরা নিজেদের প্রতিই তাকাতে পারি, দেখবেন এই প্রবাদের জীবন্ত উদাহরণ স্বয়ং আমি ও আপনিই। ঠিক তেমনি একটা শিশু যদি ছুটোকাল থেকে নিজ লিঙ্গের থেকে যৌনকাজের শিক্ষা পায় এবং তার ভিতর এই অনুভূতি ঢুকে যায় তাহলে সে বড় হয়ে পূর্ণ সমকামী না হলেও উভয়কামীতার মদ্ধে বেশীরভাগ রোমান্টিকতা থাকবে নিজ লিঙ্গের প্রতিই।
তারপরেও পত্রিকা খুললে মাঝেমধ্যে দেখা যায় ৪ বছর বা ৫ বছরের ছেলে শিশু তার নিজ লিঙ্গের কোন ব্যাক্তীর হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার। মেয়ে শিশুদের চেয়ে পুরুষ শিশু নির্যাতন কম হয়না, কিন্তু এগুলো মিডিয়ায় দেখা যায় না, এসব কথা মিডিয়ায় তখন আসে যখন শিশুটা আহত হয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়ে থাকে, কিংবা ব্যাপারটা বেশী জানাজানি হয়ে যায়। কিন্তু মিডিয়ার চোখের আড়ালে দৌনিন্দ ঘটে যাচ্ছে এমন কত নির্মম যৌন নির্যাতন।আমাদেরকি হুঁশ আছে? খবর আছে? প্রায় সময় শিশুরা এমন আচরণের স্বীকার হলেও অভিবাবকদের জানায় না। কারণ এই বিষয়টা জানাতে তারা লজ্জাবোধ করে। এর কারণ আমাদের দায়িত্বহীনতা ও অসচেতনতা। এইজন্য আপনার বাচ্চার সাথে ফ্রি হতে হবে তাকে তার উপর নির্যাতনের ব্যাপারে প্রতিবাদের জন্য উদ্ভোদ্ধ করতে হবে মুখ খুলে কথা বলা শিখাতে হবে। আর নাহয় তার আগাম দিনের জন্য আমরাই দায়ী। সে যদি আগামীতে সমকামী হয় কিংবা নিজ লিঙ্গের প্রতি বেশী আকর্ষণী হয়ে উঠে তাহলে তার এই অবস্থার জন্য এই সমাজ ও আমাদের দায়িত্বহীনতাই দায়ী নয় কি?
সবাই এই বিষয়ে সতর্ক হলে আশা রাখা যায় আমেরিকা,তুরস্ক ও ইন্ডিয়ার মত কোনোদিনেও এই বর্বর ও জঘন্য অসভ্যতাটা এই দেশে বৌধতা পাবে না, আর যদি অসেচতন হয়ে থাকি তাহলে দিনদিন সোনার দেশে সমকামী বাড়তে থাকবে এবং আমাদের দেশেও ইউরুপ আমেরিকার মত সমকামিদের বিরাট প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়ে যাবে। তখন ঠেকানোও মুশকিল হয়ে পড়বে।