চিনেবাদাম চোর ‘চুরি করিও না।’ যাত্রাপুস্তক ২০:১৫ পদ
দুপুরের খাবারের পরে স্কুলে ছেলে-মেয়েরা বিশ্রাম করছে। কেউ খেলছে। কেউ দু’তিনজন এক সঙ্গে দোকানের দিকে যাচ্ছে।
ক্লাশ ওয়ানের জনও দোকানের দিকে গেল। তার কোন সাথী সঙ্গী ভাল লাগছিল না। তার পকেটে কোন পয়সাও ছিল না। তার বাবা স্কুলের শিক্ষক। মা কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছে। জন আর তার বাবা ঘরে থাকে। দুপুরের খাওয়ায় পেট ভরেনি। বাবা বিকালের ক্লাশের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
ক্লাশের প্রথম ঘণ্টা বেঁজে উঠল। জন দোকান ছেড়ে চলে আসবে। হঠাৎ সে থেমে গেল। চিনেবাদাম! চিনেবাদামের চেয়ে জনের যদি আরও কিছু ভাল লাগে তা হল আরও চিনেবাদাম। সে এক প্যাকেট চিনেবাদাম নিয়ে দিল দৌড়। সে ভাবল বাবা কিছু বলবে না। ক্লাশের পরে পয়সা দিয়ে দেবে। জন বাবার কাছে গিয়ে বলল, ‘বাবা, দেখ, আমি চিনেবাদাম এনেছি।’ বাবা বললেন, ‘তোমার কাছে তো কোন পয়সা ছিল না, কি দিয়ে কিনলে?’ ‘আমি কিনে আনি নি, আপনি পরে পয়সা দিয়ে দেবেন।’ ‘দোকানদার কি জানে যে, তুমি চিনেবাদাম এনেছ?’ ‘না, আমি না বলে এনেছি।’
‘দেখ, বাবা, তুমি চুরি করেছ। দোকান থেকে তুমি এভাবে কিছু আনতে পার না। চল এখনই আমরা দোকানে যাই। ক্লাশ আরম্ভ হবার আগেই ফিরতে পারব।’ বাবা জনের হাত ধরে দোকানে নিয়ে গেলেন। তখন আর একটা ছোট ছেলে শিখল, বাইবেলে দশ আজ্ঞায় লেখা আছে, ‘চুরি করিও না।’
ম্যাক্ডোনাল্ড মিঠুন বৈরাগী (সংগৃহিত)