আনন্দ মোস্তফা : ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে ভারত পাকিস্তান একে অপরের প্রতি যে ঘৃণা বিদ্বেষ প্রকাশ করছে তার অবসান চান পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেন, তার দেশ পাকিস্তানে ঘৃণানির্ভর রাজনীতির পরিবর্তে একটি প্রগতিশীল বিকল্প রাজনীতি প্রয়োজন। ইন্ডিয়া টুডে
সুইজারল্যান্ডের ড্যাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলন চলাকালে ভারতের ইংরেজি সাময়িকী ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিলওয়াল পাক-ভারত রাজনীতি ও নিজ দেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। এছাড়াও ভারতের রাজনীতির অবস্থা, উপমহাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, বৈশ্বিক পরিমন্ডলে পাকিস্তানের অবস্থান নিয়েও নিজের চিন্তা ভাবনার কথা বলেন তিনি।
উপমহাদেশের রাজনীতির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তরুণ এই রাজনীতিক বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু রাজনীতিক ঘৃণানির্ভর রাজনীতি পছন্দ করেন। তারা জনগণের নেতিবাচক মনোভাবকে পুঁজি করে বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে।’
নিজ দেশের রাজনীতি নিয়ে বিলওয়াল বলেন, ‘পাকিস্তানে এখন যেরকম কুৎসিত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির রাজনীতি চলছে তার বিকল্প দরকার। পাকিস্তানের রাজনীতিকদের আচরণে মনে হয় তারা বিশ্ব থেকে কয়েকশ বছর পিছিয়ে আছে। সত্যিকার অর্থে এখানে বিকল্প প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তি প্রয়োজন।’
ভারতের ডানপন্থী রাজনীতির উত্থানেরও সমালোচনা করেন বিলওয়াল। বিলওয়াল বলেন, ‘এটা যেকোনো দেশের জন্য সত্য। এ ধরণের রাজনীতি কোনো দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না।’ নিজ দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে (পিপিপি) একটি প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে আখ্যায়িত করেন বেনজির-তনয়।
ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়ে বিলওয়াল বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে রেষারেষি আছে। কিন্তু দুই দেশের তরুণরাই এটা নিশ্চিত বুঝেছে যে শান্তিই এসব রেষারেষির সমাধানের একমাত্র উপায়।’
তবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে একথাও বলেন, ‘ভারত বা অন্য কোনো রাষ্ট্র যদি পাকিস্তানকে আক্রমণাত্মক হতে বাধ্য করে তবে তা এ অঞ্চলে কারো জন্যই শান্তি বয়ে আনবে না।’