৭ কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় দায়ী : আরেফিন সিদ্দিক
প্রিন্স মাহামুদ আজিম : ৭ কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষামন্ত্রণালয়কে দায়ী করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রনালয় পরিদর্শনে গিয়ে একটি অনুশাসন দেন। যে সকল সরকারী কলেজগুলোতে অনার্স এবং মাস্টার্স রয়েছে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্ব-অঞ্চলের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় অধিভুক্তি পাবে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুশাসনটি যথাসময়ে শিক্ষামন্ত্রনালয় থেকে কার্যকর না হওয়ায় বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। টিভিএনএ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন আরেফিন সিদ্দিক।
এই সময়ে তিনি আরও বলেন, অধিভুক্ত করা ৭টি কলেজ এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে যায়। ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনটি বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়। ২০১৭ সালে এসে শিক্ষামন্ত্রণালয় একটা পরিপত্র জারী করে। যেখানে ৭টি সরকারী কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হবে। শিক্ষামন্ত্রনালয়ের পরিপত্র জারীর প্রেক্ষিতে তৎকালীন ঢাবি কর্তৃপক্ষ কলেজ অধ্যক্ষদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি প্রদান করে। এখন সেই অধিভুক্তি অনুযায়ী কলেজগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দেশের উচ্চশিক্ষার স্বার্থ রক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্ব পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলেছে। কিন্তু ২০১৪ সালে দেওয়া সরকার প্রধানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কেন এত বিলম্ব হয়েছে বিষয়গুলো এখন খতিয়ে দেখা দরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সহিংসতা নিয়ে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বর্তমান চলমান সহিংসতাগুলো সমন্বয়ের অভাবে হচ্ছে। অতীতেও এই ধরনের বহু সঙ্কট আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছি। তাই বর্তমান প্রশাসনের উচিত সকলকে নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন