‘ব্যাংকিং চ্যানেলে কালো টাকা ঠেকাতে সবোর্”চ সতর্ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক’
জাফর আহমদ : বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর এসএক সুর চৌধুরী বলেছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে থাকা কালো টাকার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোন করণীয় নেই। তবে ব্যাংকিং চ্যানেলে যাতে কোন কালো টাকার লেনদেন না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নিবে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্বাচনী বছর কালো টাকার লেনদেন বাড়তে পারে, অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে ব্যাংক কি ব্যবস্থা নিচ্ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের শেষার্ধের মূদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। এসকে সুর চৌধুরী গর্ভনর ফজলে কবিরের পক্ষে এ কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, ডেপুটি গর্ভনর রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, উপদেষ্টা ও বিভিন্ন পর্যায়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে কালো টাকা রোধসহ আর্থিক সকল লেনদেন রোধে কাজ করা হচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সব টুল্স আছে সেগুলো কাজে লাগানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে, দেশ থেকে দেশের বাইরে বা দেশের বাইরে থেকে দেশের অভ্যান্তরে অবৈধ প্রবেশ রোধে সকল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআই) আগে থেকেই এ ব্যাপারে কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে কালো টাকার প্রবাহ বৃদ্ধির ব্যাপারে অর্র্থমন্ত্রীর বক্তব্য সরকারের। এ জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করা হচ্ছে জানিয়ে এসকে সুর চৌধুরী বলেন, এ ঋণের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিতরন করা হচ্ছে এনজিও-এর মাধ্যমে। আর এর সুদ হার দিতে হয় ২০ থেকে ২৭ শতাংশ হারে। এ ঋণের সুদ হারের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পল্লী অঞ্চলে অর্থ সরবরাহের বিষয়টি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।