পরীক্ষা বাতিল করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই
অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
এদেশে প্রশ্ন ফাঁস একটি কঠিন সমস্যা হয়ে গেছে। একটি জায়গায় প্রশ্ন ফাঁস হলে বিভিন্ন মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এটি একমাত্র সরকারকে ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, মানুষের পক্ষে যা সম্ভব সব কিছুই করা হয়েছে। তারপরও প্রশ্ন ফাঁস হলে, পরীক্ষা বাতিল করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। তাই একজন দু’জনের জন্য তো আর পুরো পরীক্ষা বাতিল করা যায় না। এখানে একটি আর্থিক ব্যাপার আছে। শিক্ষার্থীদের মানসিকতার ব্যাপার আছে। মানুষের দুঃখ, কষ্টের ব্যাপার আছে। এখন সবচেয়ে বড় কথা, এখানে মিডিয়ার সহয়োগিতা লাগবে। মিডিয়া অনেক বড় বড় সমস্যাকে সমাধান করতে পারে। মিডিয়া থেকে প্রস্তাব তুলতে হবে। যারা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন দিচ্ছে তাদেরকে ধরতে হবে। আইসিটি আইন করা হয়েছে। তাহলে এটিও তো আইসিটি আইনের মধ্যে পড়ে। তাদের ধরাতো সহজ। তারা ফোন নম্বর দিয়ে দিচ্ছে। এখন তো আর কোনো ফোন নম্বর বিনা রেজিষ্ট্রেশনে নেই। তাই তাদের ধরা সহজ। ধরে আইনর আওতায় নিতে হবে। আগে এমনটি ছিল না। এখন দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, মানুষও ডিজিটাল জালিয়াতির সাথে জড়াচ্ছে। যারা পরীক্ষা নেয় বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে কোনো পরীক্ষা আসলে তাদের ভেতরে ভয়ে পানি থাকে না। কখন কী সমস্যা হয়, এটি নিয়ে টেনশনে থাকে। এখন প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল করা মানে, অপরাধীদের আসকারা দেওয়া। তাই এই জালিয়াত চক্রটিকে যে কোনোভাবে নির্মূল করতে হবে। এটির জন্য মিডিয়া একটি ভালো ভূমিকা নিতে পারে বলে আমি মনে করি। মিডিয়া অনেক ভালো ভালো কাজ করে। তাই এই জালিয়াত চক্রকে ধরতেও তাদের সহযোগিতা লাগবে। না হলে সরকার কোনোভাবে এটিকে রোধ করতে পারবে না। সবাই মিলে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতে হবে। একজনের জন্য দশজনকে নষ্ট করা যাবে না।
পরিচিতি : ভিসি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ