গার্মেন্ট ব্যবসার আড়ালে ইয়াবার ব্যবসা
সুজন কৈরী : রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৫ জনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। আটকরা হলো, এনায়েত করিম মিঠু, রিপন, রাব্বি, ফরিদ ও তনয়। গতকাল সন্ধ্যায় উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের গরীবে নেওয়াজ সড়কের ৩৫ নম্বর বাড়ি থেকে ওই ৫ জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে মিঠু কেএনকিউ নামক একটি গার্মেন্ট এক্সেসরিজ প্রতিষ্ঠানের মালিক। তার বাসা থেকেই ইয়াবাগুলো উদ্ধার করে ডিএনসি।
ডিএনসির সহকারী পরিচালক (উত্তর) খোরশিদ আলম বলেন, ৩৫ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি অংশ ভাড়া নিয়ে গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান চালান মিঠু। বাসার সোফার কুশনের ভেতর, আলমারি, খাটের নিচে, ময়লার ঝুড়িতে ও মোটরসাইকেলের হেলমেটসহ বিভিন্নস্থানে ইয়াবাগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এছাড়া অভিযানের সময় বাসার টয়লেটে দুজনকে ইয়াবা সেবন করতে দেখা যায়। বাসাটি মাদকসেবীদের আড্ডাখানা বলে দাবি করে ডিএনসির কর্মকর্তারা। এখান থেকে উত্তরার বিভিন্ন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করা হয়। খোরশিদ আরো জানান, বাসায় একটি রুম সাবলেট নিয়ে পুলিশের এক সদস্য থাকেন। তবে প্রাথমিকভাবে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ধানম-ির মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত শুক্রবার রাতে পৃথক অভিযান চালায় ডিএনসি। এ সময় ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার আব্দুল গফুরকে আটক করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গফুর মাদক ব্যবসায় জড়িত দাবি করে ডিএনসি জানায়, মেডিনোভার ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে গফুর খুব সহজে আড়ালে থেকে মাদকের ব্যবসা করে আসছিলেন। তার নিজস্ব গ্রাহক রয়েছে। তিনি নিজস্ব এজেন্ট দিয়ে মাদকের হোম ডেলিভারিও দিতেন। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে মেডিনোভার জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহিদুল আলম রিপন গণমাধ্যমকে জানান, ৯৬ সাল থেকে গফুর প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছেন। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়ার বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের জানা নেই। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্নস্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ২য় দিনে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পাদনা : আনিসুর রহমান তপন