মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মূল্যায়ন করছে না বর্তমান সরকার
শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার জন্য মোট ৬টি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। ১. ভোট হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। ২. জনগণের ভোট কেন্দ্রে আসার মতো পরিবেশ তৈরি। ৩. ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া। ৪. নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। ৫. ভোটের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন ও মোবাইল ফোর্স হিসাবে কাজ করা। ৬. ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মোট ৬ টি শর্তের কথা বলেছেন, এ ৬টি কোন শর্ত হিসাবে বলেননি। তিনি কিভাবে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ ব্যাখ্যা এর আগেও দিয়েছেন এবং গতকালও একই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যদি একটি ভাল নির্বাচন করতে হয়, তাহলে গতকাল যে ছয়টি বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন, এটি বাংলাদেশের জনগণ বিবেচনা করে থাকেন তাহলে সঠিকভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হবে। যদি বর্তমান সরকার এই ছয়টি বিষয় গ্রহণ না করে, তাহলে এতে প্রমাণিত হবে যে, বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায় না। আর এ ছয়টি শর্ত গ্রহণ না করলে নির্বাচন করা সফল হবে না। এতে প্রমাণিত হবে, যেনতেন একটি ভোটের নামে বিভিন্ন তামাশা করে, তালবাহানা করে ২০১৪ সালের নির্বাচনের মত ২০১৮ সালে জোর করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবেন এবং জোর করে ক্ষমতায় থাকবেন। এটি বর্তমান বাস্তবতায় একেবারে স¦াভাবিক হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন। অথচ মানুষের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখান। সুতরাং সেটি যখন জনগণকে দিতে পারছেন না, তাহলে বলতে হয়, আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি রাজাকার বাহিনীর মত আচরণ করছে। এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মূল্যায়ন করছে না বর্তমান সরকার।
পরিচিতি : ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি
মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ