যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক গ্রেফতার
মরিয়ম চম্পা : গত বুধবার সকালে অন্যান্য দিনের মতোই বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা সৈয়দ জামাল। হঠাতই কানসাস লরেন্সের বাড়ির আঙ্গিনা থেকে মার্কিন ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস ইনফোরসমেন্ট ‘আইসিই’ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় ৫৫ বছর বয়সী জামাল খুবই শান্তভাবে তার স্ত্রী ও ৩ বাচ্চাকে গুডবাই বলেন। বিজ্ঞানী ও কমিউনিটি লিডার জামালকে গ্রেফতারের পরপরই কানসাসে বসবাসরত বাঙালি বন্ধু ও প্রতিবেশীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে।দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট
পরিবারের বরাত দিয়ে নিউইর্য়ক টাইমস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৩০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে স্কলারশিপ নিয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকায় যান জামাল। এর আগেও একবার তাকে অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিটের অপরাধে যুক্তরাজ্যের পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো। পরবর্তীতে আনবিক জীববিজ্ঞান ও ফার্মাসিউটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর ডিগ্রী অর্জনের পর লরেন্সে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। স্ত্রী-সন্তানরা মার্কিন নাগরীকত্ব পেলেও জামাল যুক্তরাষ্ট্রের পাকাপাকি নাগরীক হয়ে ওঠতে পারেননি। সমস্যার এখানেই শেষ নয়। প্রথমত তিনি দেশটিতে অবৈধ নাগরীক, দ্বিতীয়ত তিনি বিহারী বাঙালি।
তার বাচ্চারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাবার সাথে যৌথ ছবি পোস্ট করে জানায়, প্লিজ আমার বাবাকে বাঁচাও। বাবাকে ছাড়া আমরা অচল। আমার মা একটি মাত্র কিডনি নিয়ে বেঁচে আছেন। বাবাকে ছাড়া আমাদের অস্তিত্ব টিকে থাকবে না।
সৈয়দ আহমেদ জামালের বাচ্চাদের করুণ পোস্টটি ইতোমধ্যে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি কানসাসের বাঙালি সম্প্রদায় একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় ১০ হাজারেরও বেশি স্বাক্ষর গ্রহণ করেছে।
লরেন্সের কমিউনিটি পুলিশ জানায়, বাংলাদেশে ব্লগারদের উপর মৌলবাদীদের হামলার প্রসঙ্গ টেনে জামাল ইতোমধ্যে জানিয়েছে যে, তাকে যদি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয় তাহলে তার জীবন সংশয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।