এবিপি : স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘পকড়ুয়া বিবাহ্’। নাম শুনে সহজেই অনুমেয় যে, কথার মানে জোর করে বিয়ে দেওয়া। এমনই প্রথা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে বিহারে। বিশেষকরে প্রত্যন্ত গ্রাম-গ্রামাঞ্চলে। তবে, মজার কথা হল, এক্ষেত্রে নিশানায় বিবাহ-যোগ্য যুবকরা।
বিহার পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর গোটা রাজ্যে ৩,৪০৫ যুবককে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় একেবারে অপরিচিত যুবতীদের সঙ্গে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘পকড়ুয়া বিবাহ্’ সম্পন্ন হয় গান-পয়েন্টে। অর্থাৎ, বরের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে, তাঁর ও পরিবারের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাধ্য করা হয় বিয়ে করতে।
পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, গতমাসে এক ইঞ্জিনিয়ারকে এভাবেই ‘পকড়ুয়া বিবাহ্’ দেওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে জোর শোরগোল পড়ে যায়। ওই যুবকের অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে বলপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়েছে। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর সঙ্গে ঘর করতে রাজি নন বলেও জানিয়ে দেন তিনি।বিহার পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ৩,০৭০ জন যুবককে এভাবে অপহরণ করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদরাগবি চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী হয়ে লুটতরাজ করল ফিলাদেলফিয়ার সমর্থকরা
সজিব সরকার : যুক্তরাষ্ট্রের পেনসালভেনিয়ার ‘ফিলাদেলফিয়া ইগলস’ রাগবি ফ্রাঞ্চাইজি জাতীয় ‘সুপার বোল’ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী হলে দলের সমর্থকরা উচ্ছৃঙ্খলভাবে উদযাপন করে। এসময় তারা শহরের বিভিন্ন যায়গায় ভাঙচুর করে, দোকান লুটপাট করে এবং রাস্তায় রাস্তায় আগুন লাগিয়ে দেয়। উৎফুল্ল রাগবি সমর্থকরা এসময় রাস্তায় রাস্তায় লাফালাফি করে ও ‘ফ্লাই ইগল ফ্লাই’ বলে সেøাগান দিতে থাকে। শহরটিতে সিটি হলের পাশে একটি দোকানে তারা ভাংচুর করে এবং কয়েকজন মিলে দোকান লুট করে। তারা কয়েকটি দোকানে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমুহে। এসময় তারা পুলিশের গাড়ির উপর উঠেও নাচানাচি করে। তাদের এমন উদযাপনে শঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দা। আগুন জ্বালানোর ঘটনা ঘটলে দমকলকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ কি পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। অপরদিকে পরাজিত দলটি ছিল আরেক আন্যতম শহর বস্টন এর। পেনসালভেনিয়ায় এমন ঘটনা ঘটলেও বস্টনে তেমন কিছু হয়নি। বস্টনের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই, আমাদের এখানে এমন একটি ঘটনাও ঘটেনি।’ রয়টার্স