গত এক বছরে বিহারে ৩,৪০০ যুবককে অপহরণ করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে, দাবি পুলিশ রিপোর্টে
এবিপি : স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘পকড়ুয়া বিবাহ্’। নাম শুনে সহজেই অনুমেয় যে, কথার মানে জোর করে বিয়ে দেওয়া। এমনই প্রথা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে বিহারে। বিশেষকরে প্রত্যন্ত গ্রাম-গ্রামাঞ্চলে। তবে, মজার কথা হল, এক্ষেত্রে নিশানায় বিবাহ-যোগ্য যুবকরা।
বিহার পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর গোটা রাজ্যে ৩,৪০৫ যুবককে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় একেবারে অপরিচিত যুবতীদের সঙ্গে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘পকড়ুয়া বিবাহ্’ সম্পন্ন হয় গান-পয়েন্টে। অর্থাৎ, বরের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে, তাঁর ও পরিবারের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাধ্য করা হয় বিয়ে করতে।
পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, গতমাসে এক ইঞ্জিনিয়ারকে এভাবেই ‘পকড়ুয়া বিবাহ্’ দেওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে জোর শোরগোল পড়ে যায়। ওই যুবকের অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে বলপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়েছে। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর সঙ্গে ঘর করতে রাজি নন বলেও জানিয়ে দেন তিনি।বিহার পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ৩,০৭০ জন যুবককে এভাবে অপহরণ করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদএবিপি : শুধু চরবৃত্তি নয়, সন্ত্রাসবাদ ও অন্তর্ঘাত সংক্রান্ত আর কয়েকটি মামলা ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবের বিরুদ্ধে সাজিয়েছে পাকিস্তান। সে দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথাই জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, চরবৃত্তির অভিযোগ সাজিয়ে পাক সামরিক আদালত ইতিমধ্যেই কুলভূষণের মৃত্যুদ- দিয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে পাক সামরিক আদালত ৪৭ বছরের কুলভূষণকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, ইরান থেকে বেলুচিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন কুলভূষণ। বেলুচিস্তান থেকে তাঁকে ২০১৬-র ৩ মার্চ গ্রেফতার করে নিরাপত্তা বাহিনী। ভারত অবশ্য পাকিস্তানের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে।
শুধু তাই নয়, কুলভূষণের বিরুদ্ধে পাক সামরিক আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ভারত আন্তর্জাতির ন্যায় বিচার আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছে। ভারতের আর্জির ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওযা পর্যন্ত পাকিস্তানের দ-াদেশ কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক আদালত।
পাকিস্তানের এক সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, কুলভূষণের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে সন্ত্রাস ও অন্তর্ঘাত মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ