দেশের বাজারে ৫ হাজার মেট্রিক টন করে চায়ের চাহিদা বাড়ছে
জাফর আহমদ: অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি বছর ৫ হাজার মেট্রিকটন (৫ মিলিয়ন কেজি) করে চায়ের চাহিদা বাড়ছে। এর ফলে দেশে যথেষ্ট চা উৎপাদিত হলেও চা আমদানি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ৭৭ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন কেজি। ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন কেজি। ২০১৭ সালে অভ্যন্তরিণ চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন কেজি। সর্বশেষ দেশে চা উৎপাদন হয়েছে ৮১ মিলিয়ন কেজি। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে চাইনিজ একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্সেস সাথে বাংলাদেশের টি রিসার্স ইনস্টিটিউট-এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, চাইনিজ একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্সেস চুক্তি স্বাক্ষরের পর চা নিয়ে মতবিনিময়, গবেষণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে। চা গবেষণা সমৃদ্ধ হবে। এর ফলে বাংলাদেশে চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশে সংকর জাতের চা উৎপাদন শুরু ও চায়ের পোকামাকড় দমনের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করা যাবে। চায়ের বহুমুখী ব্যবহার করা যাবে এবং চায়ের কম জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বেশি চা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। চা চাষে আধুনিকায়নেও ভূমিকা রাখতে এই সমঝোতা চুক্তি।
চীন চায়ের চায়ের জন্ম স্থান উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুত্র জানায়, সমঝোতা চুক্তির ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এটা সম্ভব হলে দেশে চায়ের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে যে চা আমদানি করা হচ্ছে তা কমানো যাবে। পাশাপাশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে। সম্পাদনা : আনিস রহমান