পাটুরিয়া-বাঘাবাড়ী নৌরুটের ৪ লাখ ৬৮ হাজার টন পলি অপসারণ
তরিকুল ইসলাম সুমন : উত্তরবঙ্গের পাটুরিয়া-বাঘাবাড়ী নৌপথ সংস্কারে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৪০ হাজার ঘন মিটার বা ৪ লাখ ৬৮ হাজার টন পলি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে।
ড্রেজিং কার্যক্রম তদারককারী কর্মকর্তা আ স ম মাশরেকুল আরেফিন জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত এ রুটের নাব্য সংকটের কারণে যাতে করে কোনো জাহাজ চলাচলে সমস্যা না হয় এ বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনো ধরনের বিরুপ অবস্থা তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এ নৌ পথের নগরবাড়ীর কাছে মুন্সীখোলা এলাকায় ড্রেজিং চলছে। এখানে দ্রুত কাজ করার জন্য তিনটি ড্রেজার কাজ করছে। আশা করা যায়, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।
পাটুরিয়া-বাঘাবাড়ী নৌপথে সাধারণত বর্ষা মৌসুমের আগ পর্যন্ত কোনো কোনো জায়গায় জাহাজ চলাচলে সমস্যা হয়। এ জন্য গত ডিসেম্বর থেকে এই রুটের নাব্য সমস্যাযুক্ত মোল্লার চর, পেঁচা খোলা, মোহনগঞ্জ এলাকার চ্যানেলের নাব্য (১২০ ফুট চওড়া) উন্নয়নের কাজ শেষ করা হয়েছে।
ড্রেজিং কার্যক্রম তদারককারী কর্মকর্তা আ স ম মাশরেকুল আরেফিন আরো বলেন, পাটুরিয়া-বাঘাবাড়ী নৌ পথটি দ্বিতীয় শ্রেণীর নৌ পথ। এ পথে শুষ্ক মৌসুমে ৭ থেকে ৮ ফুট ড্রাফটের জাহাজ চলাচল করতে পারে। কিন্তু দৌলতদিয়ায় বড় জাহাজগুলো (১২-১৩ ফুট ড্রাফটের) এ রুটে চলাচল করতে পারে না। এক্ষেত্রে ছোট ছোট জাহাজে (লাইটারেজ) করে পরিবহন করতে হয়। সাধারণত নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে এ রুটের বিভিন্ন পয়েন্টে উজান থেকে আসা পলি জমা হয়ে নৌ চলাচলে সমস্যা তৈরি করে। যমুনা নদীর তলদেশ অস্থিতিশীল এবং প্রবল স্রোত থাকার কারণেও কিছু কিছু জায়গা ভরাট হয়ে ডুবচরেরও সৃষ্টি করে। ফলে জাহাজ চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। উত্তরবঙ্গে জন্য এ রুটটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করা হচ্ছে এই রুটটি।
বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) আব্দুল মতিন জানান, ৫০ কিলোমিটার নৌ পথের (পাটুরিয়া-বাঘাবাড়ী) বিভিন্ন শোলের হাইড্রোগ্রাফিক জরিপসহ নাব্য সব সময় মনিটরিং করা হচ্ছে। সার, জ্বালানি তেল, কয়লা, সিমেন্টবাহী জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা না হয় এ জন্য সেন্ট্রাল ফর ইনভার্নমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফর্মেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস) -এর পরামর্শ অনুযায়ী ড্রেজিং করছে বিআইডব্লিউটিএ’র তিনটি ড্রেজার। এছাড়াও কোনো জায়গায় চলাচলে সমস্যা আছে কিনা তা জরিপ করে দেখা হচ্ছে।
সম্পাদনা : আনিস রহমান