বাংলাট্রিবিউন : ইসলামিক স্টেট অধ্যুষিত এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধ করতে যাওয়া ব্যক্তিদের অবস্থা নাজুক। এসব সদস্যদের জন্য নেই কোন যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, নেই কোন পরিশ্রমের কাজ। এদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে চায় এটা জানা থাকা সত্ত্বেও যে ফিরে গেলে তাদের কারাবন্দি করা হতে পারে।
আইএসের যোদ্ধা হতে চাওয়া এসব মার্কিনিদের যুদ্ধ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতায় যেমন কমতি আছে তেমন অভাব আছে তাদের সহায়তা করতে পারবে এমন সহায়তাকারীর। যুক্তরাষ্ট্রের এসব নাগরিকদের মূলত সাফ-সাফাইয়ের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। এমনই বক্তব্য সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রের।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গিবাদ বিষয়ক প্রকল্প তাদের গবেষণাপত্রে বলেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রচারণার ফাঁদে পড়েই মূলত এসব ব্যক্তিরা সিরিয়া ও ইরাকে আসার বিষয়ে মনস্থির করেছিল। আইএসের পক্ষে যুদ্ধে যোগ দিতে সহায়তা করবে এমন কোন সূত্রের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল না তাদের অধিকাংশেরই।
আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পৌঁছাবার পর তাদের মোহভঙ্গ হয়। অপরিচিত এলাকা, সংস্কৃতগত পার্থক্যসহ অনেক কারণে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ফলে অল্প সময়ের ভেতরেই তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তারা এটা জানেন যে সেখানে ফিরে গেলে তাদের কারাবন্দি হওয়ার সম্ভাবনাও খুব বেশি।
ইসলামিক স্টেট ছেড়ে যারা ফিরেছে তাদের অনেকেই বলেছে, জিহাদি জীবন আর তাদের প্রত্যাশার ভেতর ফারাক অনেক। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গিবাদ বিষয়ক প্রকল্প, ‘দ্যা ট্রাভেলার’ শিরোনামের গবেষণাপত্রে এসব তথ্য উল্লেখ করেছে। ইন্টারনেটে আইএসের প্রচারণামূলক যেসব ছবি ও ভিডিওচিত্র দেখানো হয় বাস্তব অবস্থা তার চেয়ে ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাপনে অভ্যস্তদের সেখানে বাস করা খুবই কঠিন। ইন্টারনেটে যে ভাতৃত্ব ও সহচর্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তার খুবই কম বাস্তবে পূরণ করে আইএস। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ