• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

ইসলামি চিন্তা

হৃদয়ে মাতৃভাষা ইসলামে মাতৃভাষা মুফতি আহমদ আবদুল্লাহ

প্রকাশের সময় : February 9, 2018, 12:00 am

আপডেট সময় : February 8, 2018 at 7:29 pm

 

 

২১ শে ফেব্রুয়ারি ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ। আমাদের ইতিহাসে ২১ একটি প্রতীক। এই দিনে বাংলা ভাষার জন্য তাজা প্রাণ উৎসর্গিত হলেও দিনটি ৮ ফাল্গুন হিসাবে চিহ্নিত নয়। এ প্রচেষ্টা কেউ কেউ গ্রহণ করে ২১- এর মহান তাৎপর্যকে প্রসারিত করার নামে অতি-সম্প্রসারিত করার প্রয়াস দিয়ে ¤্রয়িমাণ করার প্রচেষ্টা বিফল হয়েছে। দিনটি একটি প্রতীকই হয়ে আছে। আমাদের ইতিহাসে ২১ ফেব্রুয়ারি অবশ্যই কোন-না-কোন ঘটনা বহন করে, কিন্তু ৫২- এর ২১ ফেব্রুয়ারি আর আজকের ২১ সমর্থক কিংবা সম তাৎপর্যম-িত নয়। ১৯৫২- এর ২১ ছিল রক্তাক্ত দিবস— সালাম, জব্বার, রফিক ও শফিউদ্দিনের রক্ত রাঙানো দিন। এরপরও তরুণরা ভাষার দাবিতে রক্ত দিয়েছে, কিন্তু পরবর্তী রক্ত দান ছিল সেদিনের রক্তদানের ধারাবাহিকতা। সেদিন ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার লড়াইয়ে শহীদরা রুটি-রুজির কথা ততটা ভেবেছিল কি না জানি না; বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বা শহুরে মধ্যবিত্তের বুকে উর্দুর শেল এমনভাবে বিঁধেছিল যে, তাদের অহমবোধে প্রচ- রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করেছিল। গর্জে উঠেছিল সে কারণে। দ্বিতীয় চিন্তার অবকাশ থেকে হয়ত জাতিসত্তার বিলুপ্তির শঙ্কা জেগেছে। দোরগোড়ায় রুটি-রুজিতে বানরের থাবা লক্ষ্য করেছে বলে সাধারণ মানুষও এই ২১ শের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত ও সম্পৃক্ত করেছে।

তাদের কেউ কেউ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চেয়েছে। সেটা একটা প্রদেশের জন্যে, দেশের জন্য নয়। তারা অন্য প্রদেশে অন্য ভাষাকেও মেনে নিয়েই কেন্দ্রে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাকে চেয়েছে।

তারা সমন্বয় চেয়েছে, সমন্বিত প্রয়াস নিয়ে পাকিস্তানি হতে চেয়েছে, বাঙালী হতে চায়নি। আর যারা রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলা চেয়েছে, তারা তা না বুঝে চেয়েছে। তবে তা ভাবার অবকাশ সীমিত। রাত গভীরে যেমন রজনী গন্ধা ফোটে, হাসনাহেনা সুগন্ধ ছড়ায়, তেমনি সময়মত এই একুশ রাষ্ট্রচিন্তার জন্ম দেবেই। লাঞ্ছনা-বঞ্চনা, ঘাত-প্রতিঘাত, সংঘাত-সংঘর্ষের ব্যঞ্জনা থেকেই রাষ্ট্রচিন্তা প্রবল হয়েছে। কখনও তাকে স্বাধিকার নামে অভিহিত করা হয়েছে। কখনও তাকে স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম বলা হয়েছে। কখনও আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ভাবনা স্বাধীন রাষ্ট্রে স্বতন্ত্র জাতিসত্তার ভাবনা ও কর্মে রূপান্তরিত হয়েছে। পথ চলতে চলতে যেমন গন্তব্যের ঠিকানা মিলে যায়, তেমনি গন্তব্য নিয়ে পথচলায় কৌশলও পরবর্তিত হয়। আমাদের জীবনে এমনটি ঘটেছে। ষাটের দশকের একুশ ও সত্তর দশকের একুশে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। ১৯৬৬ সালের একুশ, কিংবা ১৯৬৯ সালের একুশ এক জিনিস নয়, তেমনি ১৯৭০ বা ১৯৭১ সালের একুশও এক জিনিস নয়। ১৯৫২ সালে ৭১ সালে যৌক্তিক পরিণতি পেয়েছে। বায়ান্নের বিভাজন ৭১- এর সম্পৃক্তায় আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রসত্তার উদ্ভব ঘটেছে।

লেখক: শিক্ষক, বাইতুন নূর মাদরাসা ঢাকা।

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)