সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রফতানিতে ১০ শতাংশ ভর্তুকি
মোরশেদ মুকুল : সফটওয়্যার, আইটিইএস (ইনফরমেশন টেকনোলজি এনাবল সার্ভিসেস) ও হার্ডওয়্যার রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া সিনথেটিক ও ফ্যাব্রিকসের মিশ্রণ তৈরি জুতা এবং চার্জ ধরে রাখতে পারে এমন অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি রফতানিতে ১৫ শতাংশ ভর্তুকি দেয়ারও নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। ফলে এখন থেকে এ খাতগুলোর পণ্য ও সেবা রফতানিতে ভর্তুকি নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে রফতানিকারকরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে সার্কুলারে এ নির্দেশনা জানানো হয়েছে।
নগদ সহায়তা পাওয়ার তালিকায় যোগ হয়েছে ই-কমার্সও। আইটিইএসের তালিকায় জায়গা পেয়েছে ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, অ্যানিমেশন টুডি ও থ্রিডি, গ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (জিআইএস), আইটি সাপোর্ট অ্যান্ড সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্স সার্ভিসেস, ওয়েবসাইট সার্ভিসেস, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, ডেটা এন্ট্রি, ডেটা প্রসেসিং, কলসেন্টার, গ্রাফিক্স ডিজাইন (ডিজিটাল সার্ভিস), সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ওয়েব লিস্টিং, ই-কমার্স অ্যান্ড অনলাইন শপিং, ডকুমেন্ট কনভারসেশন, ইমেজিং অ্যান্ড আর্কাইভিং, সফটওয়্যার অথবা অ্যাপি-কেশন কাস্টমাইজেশন, ওয়েব ডেভেলমেন্ট, ওয়েবসাইট হোস্টিং, ডিজিটাল ডেটা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই আইটিইএস, হার্ডওয়্যার রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা বা ভর্তুকির দাবি করে আসছিলেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। জুতা ও অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি রফতানিতেও ভর্তুকির দাবি ছিল। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকেই এই রফতানি ভর্তুকি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। এ বিষয়ে অর্থবছরের শুরুতেই জানানো হয়, তবে এই সুবিধাপ্রাপ্তি শর্ত ও নির্দেশনা জারি করতে কিছুটা সময় নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে রফতানি ভর্তুকির প্রাপক ও প্রাপ্তির মাত্রা সম্পর্কে বলা হয়, নিজস্ব কারখানায় বা প্রতিষ্ঠানে তৈরি সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার রপ্তানির বিপরীতে নেট এফওবি (ফ্রেইট অন বোর্ড) মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ ভর্তুকি পাবে উত্পাদনকারী বা প্রস্তুতকারক-রফতানিকারক। তবে সফটওয়্যার ও আইটিইএস সেবা ও পণ্যে রফতাানি ভর্তুকি পেতে হলে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ এবং হার্ডওয়্যার রফতানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্ত রয়েছে।
এ ছাড়া সিনথেটিক ও ফ্যাব্রিকসের মিশ্রণ তৈরি জুতা ও অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি রফতানিতে ১৫ শতাংশ ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্ত দেওয়া হয়েছে। এই খাতগুলোতে রফতানি ভর্তুকি ও ডিউটি ড্র-ব্যাক বা শুল্ক বন্ড সুবিধা একসঙ্গে প্রযোজ্য হবে না। তবে বিশেষায়িত অঞ্চলে (ইপিজেড, ইজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠান থেকে রফতানিকৃত পণ্যের বিপরীতে এই ভর্তুকি সুবিধা পাওয়া যাবে না।
সার্কুলারে সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার বলতে কী ধরনের সেবা বা পণ্য বোঝাবে তা বলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রপ্তানি ভর্তুকি পাওয়ার জন্য আবেদনের শর্ত ও নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তুকি নেওয়ার চেষ্টা করলে শাস্তির বিধানগুলোও বলে দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা : আনিস রহমান