তারেক রহমান টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নিলেন খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায়ভার সরকারের
শাহানুজ্জামান টিটু ও মাঈন উদ্দিন আরিফ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের পর বিএনপির নীতির্নিধারকদের প্রথম বৈঠকে টেলিফোনে অংশ নেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের করণীয় নির্ধারণে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, লন্ডন থেকে দায়িত্বপালন করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি টেলিফোনে মাধ্যমে সভায় তার বক্তব্য জানিয়েছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এখন কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ফিরিয়ে আনার জন্য একটি নিরপেক্ষ সরকার ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
শনিবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে খালেদা জিয়া বিহীন এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অংশ নেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা।
এসময় মির্জা ফখরুল জানান, জেল কোড অনুযায়ী ডিভিশন পান বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু তাকে সেই মর্যাদা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়নি। একজন সাধারণ কয়েদির মতো রাখা হয়েছে, এর জন্য তার কোনো ক্ষতি হলে সরকারকেই দায়ভার বহন করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের ৫ জন সিনিয়র আইনজীবী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে গিয়েছিলেন। তাকে সর্ম্পূণ নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কারাগারে কেউ বাস করে না। সমস্ত ঘরবাড়ি পড়ে যাচ্ছে, স্যাঁৎসেঁতে হয়ে গেছে। সেই কারাগারে সর্ম্পূণ একা সাধারণ কয়েদি হিসেবে তাকে রাখা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এখনও পর্যন্ত ডিভিশন দেওয়া হয়নি। তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা হয়নি। সার্বক্ষণিক গৃহপরিচারিকা থাকতে দেওয়া হয়নি। জেল কোড অনুযায়ী তাকে কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ায় দেশবাসী ধিক্কার দিয়েছে। সারাদেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে। দল আরও শক্তিশালী হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনজীবীদের মাধ্যমে খালেদা জিয়া কোনো ধরনের বক্তব্য দেননি। তারা গিয়েছিলেন ম্যাডামের আইনি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায়সহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের অবিলন্বে মুক্তি দিতে হবে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী