১০ বছরেও উচ্চশিক্ষা কমিশন হয়নি
তরিকুল ইসলাম সুমন : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ক্ষমতা বাড়িয়ে উচ্চশিক্ষা কমিশনে রূপান্তরের উদ্যোগ ১০ বছরের বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে নানা সমস্যায় পরতে হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। গত বছরের নভেম্বরে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন-২০১০’ আইনের একটি খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়। খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হলে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আবারো সচিব কমিটিতে ফেরত পাঠানো হয়। এ নিয়ে কাজ করতে সচিব কমিটি পরে একটি সাব-কমিটি করা হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানাগেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, উচ্চশিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ও তার দায়িত্ব-কর্তব্য, কমিশনের সদস্য ও অন্যান্য কর্মকর্তার ক্ষমতা নিয়ে আপত্তি এবং শিক্ষানীতি-২০১০ এর সঙ্গে খসড়া আইনটির একটি পয়েন্ট সাংঘর্ষিক বলে পর্যবেক্ষণ দিয়ে সচিব কমিটিতে ফেরত পাঠায় মন্ত্রিসভা। পরে এই তিনটি বিষয় সংশোধন বা স্পষ্ট করার জন্য ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি সাব-কমিটি করে দেয় সচিব কমিটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, আইনটি অনুমোদনের মন্ত্রিসভায় পাঠালে সেখান থেকে এটি কিছু অবজারভেশনসহ ফেরত আসে। সচিব কমিটি ওই অবজারভেশনের বিষয়ে কাজ করতে দায়িত্ব দেয় সাব-কমিটিকে। এখনও সেটারই কাজ চলছে। গত এক বছরে দুটি বৈঠক করেছে সাব-কমিটি। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি কমিটি। তিনি আশা করেন, দ্রুত আবার অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। খসড়াটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর আইন আকারে পাসের জন্য জাতীয় সংসদে যাবে।
ইউজিসির সূত্রগুলো জানায়, ইউজিসির ক্ষমতা বাড়াতে আমলাতন্ত্র বাধা হিসেবে কাজ করছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় ইউজিসির ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। কমিশন গঠন না হওয়ায় ইউজিসির কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই উচ্চশিক্ষা কমিশন আছে। মালদ্বীপে বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র একটি। সেখানেও উচ্চশিক্ষা কমিশন কার্যকর আছে। এ দেশে সরকারি ৪২টি আর বেসরকারি ৯৬টি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও উচ্চশিক্ষা কমিশন না থাকাটা দুঃখজনক। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত