দুর্নীতি করলে সাজা হবে, এটাই স্বাভাবিক : প্রধানমন্ত্রী
লুৎফুর রহমান : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বলছেন খালেদা জিয়ার শাস্তির ব্যাপারে সরকারের হাত রয়েছে, তারা অযথা সরকারের উপর দোষ দিচ্ছেন। গতকাল বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ইতালি ও ভ্যাটিক্যান সিটি সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, মূলত টাকাটা এসেছিল এতিমদের জন্য। কিন্তু এতিমদের জন্য একটি টাকাও ব্যয় করা হয়নি। কোনো এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করা হয়। ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দীন-মঈন উদ্দিন সরকারের সময় মামলা হয়। মামলা করেছে দুদক। পরবর্তীকালে দুদক মামলা পরিচালনা করেছে। দুদক একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত। সরকার এবং দুদক সম্পূর্ণ আলাদা এনটিটি। এই দুটোকে এক করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। দুদক সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিচার বিভাগও স্বাধীন। যারা বলছেন খালেদা জিয়ার শাস্তির ব্যাপারে সরকারের হাত রয়েছে, তারা অযথা সরকারের উপর দোষ দিচ্ছেন। সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকলে ২/৩ বছরের মধ্যে মামলা শেষ হয়ে যেত। দুর্নীতি করলে সাজা হবে, এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা রমনা মডেল থানার একটি মামলা। ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। মামলা চলেছে ২৬১ কার্যদিবস। মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্ট এবং আপিলকোর্টে আবেদন হয়েছে ৮০ বারের বেশি। বেগম জিয়ার সাফাই বক্তব্য উপস্থাপন করেন একটানা ৬দিন এবং আইনজীবীদের সাফাই বক্তব্য উপস্থাপন করেন ১০ দিন। অনাস্থার কারণে আদালত বদল হয় ৩ বার, গ্রেফতারি পরোয়ানা হয় ৩ বার। খালেদা জিয়া সময় চেয়েছেন ১০৯ কার্যদিবস, স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন ৪৩ দিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা আরও কয়েকটি দুর্নীতি মামলার কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো- জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা, নাইকো দুর্নীতি মামলা, বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা ও দুর্নীতি-প্রতারণার মাধ্যমে সরকারের মূল্যবান সম্পদ তথা আর্থিক ক্ষতি সাধনের অভিযোগে মামলা। সম্পাদনা : আনিস রহমান