এডিআর সমন্বয়ের সময় বাড়লো ডিসেম্বর পর্যন্ত
আনোয়ার হোসেন: ব্যাংকের আগ্রাসী ঋণ বিতরণ প্রতিরোধে নতুন ঋণসীমা (এডিআর) সমন্বয়ের সময় ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন ঋণসীমা পরিপালনের সময়সীমা ৩০ জুনের পরিবর্তে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনর্নির্ধারণ করা হলো। এ ক্ষেত্রে গত ৩০ জানুয়ারি বা তার আগে গ্রাহককে দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরাসরি ঋণে পরিণত হওয়ার কারণে ঋণসীমা বেড়ে গেলেও তা নির্দেশনার লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করা হবে না। তবে ঋণ আমানত হার নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট সীমায় নামিয়ে আনতে হবে।
প্রচলিত ধারার ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে ৮৫ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারত ব্যাংক। গত ৩০ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমানতের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮৩ টাকা ৫০ পয়সা ঋণ দেওয়ার নির্দেশনা জারি করে। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে ৮৯ টাকা ঋণ দেওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়। যা আগে ছিলো ৯০ টাকা।
আগ্রাসীভাবে ঋণ বিতরণের কারণে ব্যাংকিং খাতের বিপুল পরিমাণ তারল্য নিঃশেষ হয়ে যায়। ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের সংকট দেখা দেয়। ফলে ইতিহাসের সর্বনিম্নে নেমে আসা আমানতের বিপরীতে সুদ হার বাড়তে থাকে। যা দেড় মাসের ব্যবধানে ৩ শতাংশে নেমে আসা আমানতের সুদ হার ১০ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে। এর ফলে ঋণের সুদ হারও ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। ঋণের সুদ ঠেকাতে ঢাকা চেম্বারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠন বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠায়। এছাড়া নির্বাচনী বছরে অধিক ঋণ বিতরণের জন্য সুযোগ দাবি করে এডিআর না কমানোর অনুরোধ করেন ব্যাংকগুলোর নির্বাহীরা। এ সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে সংশোধিত এডিআর সমন্বয়ের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়। সম্পাদনা : শোভন দত্ত