মুনশি মুহাম্মদ আবু দারাদা
আজ দেশে মনুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে না। দুনিয়াটা মারা কাটাকাটি,আর চুরি ডাকাতে ভরে গেছে, রাতে মানুষ ঘুমের ঘরেও ভয় পাই! অথচ আল্লাহ তায়ালা কুরআন পাকে ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলমান কে অন্যায় ভাবে হত্যা করল তার ঠিকানা জাহান্নাম! রাসুল (সা:) হাদিস শরীফে ইরশাদ করেন, মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই, একজন অন্যজনের মাঝে মিমাংসা করে নাও! আরো তিরমিযী শরিফের হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, তিন কারন ব্যতিত মুসলমানদেরকে হত্যা করা হারাম! এক: যে ব্যক্তি বিয়ের পরে নিজের বউ থাকা সত্যেও জিনা করে! দুই: ইসলাম গ্রহন করার পর মুরাতাদ হয়ে যায়! তিন: যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে বিনা কারনে হত্যা করল!
এর দ্বারা আমরা জানতে পারলাম উপরে উল্লেখিত তিন শ্রেনীর লোক ব্যতিত বাকি মুসলমানদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হারাম! এই তিনটি কারন পাওয়া গেলে মুসলমানকে হত্যা করা জায়েয! প্রথম কারন: যে ব্যক্তি বিয়ে করছেন এবং তার বউ ঘরে থাকা সত্যেও অন্য মহিলার সাথে জিনা করছে, এমত অবস্থায় তাকে হত্যা করা জায়েয!
দ্বিতীয় কারন: যে ব্যক্তি ইসলাম কবুল করছেন অথবা জন্মসুত্রে সে মুসলমান! তারপর সে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়েগেছে! তখন তাকে ইসলাম গ্রহন করার জন্য বলা হবে সময় দেয়া হবে! যদি সে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করাকে অস্বীকার করে! তাহলে তাকে হত্যা করা জায়েয! তৃতীয় কারন: যে ব্যক্তি কোন মুসলমান কে অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে, তার বদলে কেসাস নেয়া অর্থাৎ কাতেল কে হত্যা করা জায়েয!
এই তিন কারন ছাড়া অন্য কোন কারনে মুসলমানকে হত্যা করা জায়েয নেই! কিন্ত আফসোসের বিষয় আজ মুসলমান বিনা কারনে একজন আরেকজন কে হত্যা করছে! ছোটর থেকে ছোট কথা নিয়ে একজন অন্যজন কে হত্যা করতে দিধাবোধ করেনা! আর এই সমস্ত হত্যা, মারামারি, দুনিয়াতে ফেতনা এবং ফ্যাশন ছাড়া কিছুনা! কেননা নবী করীম (সা.) আখেরী উম্মতের জন্য তিনটি দোয়া করে গিয়েছেন!
যার মধ্যে আল্লাহর তায়ালা দুটি দোয়া কবুল করেছেন এবং বাকি একটা কবুল করেন নাই! এক: আমার উম্মতের মধ্যে যাতে আমভাবে মারামারি না হয় একজন আরেক জনকে অন্যায়ভাবে হত্যা না করে! দুই: আমার উম্মত যেনো জড় বৃষ্টি তুফানে ধ্বংশ না হয়! তিন: দুশমন যাতে আমার উম্মতের উপর অন্যয়ভাবে চড়াও না হতে পারে! আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের কে সমস্ত ফেতনা থেকে বাচার তৌফিক দান করেন আমিন! ফাযেল: দারুল উলুম দেওবন্দ ভারত!