‘আমি যখন শুনেছি পবিত্র খ্রিস্টপ্রসাদের অবমননা হয়েছে, আমি কেঁদেছি। আমাদের প্রভুকে ওরা অপমান করেছে’ ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাদার তেরেজা সংঘের একজন সিস্টার। তিনি মাউসাইদ গির্জার পাশে কনভেন্টে থাকেন। সিস্টারের মত মাউসাইদের ধর্মভীরু খ্রিস্টভক্তরা খ্রিস্টপ্রসাদের অবমননায় ভীষণ ব্যথিত। ৮ ফেব্রুয়ারী, ভোর চারটায় ঢাকার উত্তরখান থানার মাউসাইদ গির্জায় ডাকাতি, গির্জার ফাদার চঞ্চল পেরেরাকে নির্যাতন এবং পবিত্র খ্রিস্টপ্রসাদের অবমাননার ঘটনায় স্থানীয় খ্রিস্টানরা আজ এক উপবাস প্রার্থনায় অংশ নিয়েছেন। পবিত্র খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্ব করেছেন ফাদার মিন্টু পালমা, সাথে ছিলেন ফাদার চঞ্চল পেরেরা। খ্রিস্টযাগের পর প্রায় দুইশ খ্রিস্টান মাউসাইদগ্রামের রাস্তায় এক মৌন মিছিলে অংশ নেন।এতে অংশ নেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের মহা সচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া। তিনি এই সময় বলেন, মাউসাইদ গির্জার ফাদারকে নির্যাতন এবং খ্রিস্টবিশ্বাসীদের পবিত্র খ্রিস্টপ্রসাদের অবমাননায় আমাদের অত্যন্ত মর্মাহত করেছে। আমরা ব্যথিত। আমরা দুষ্কিতকারীদের দ্রুত গ্রেফতার চাই এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করি। ফাদার চঞ্চল পেরেরা বলেন, পবিত্র খ্রিস্টপ্রসাদের অবমাননায় আমাদের খ্রিস্টভক্তরা আজ সারাদিন নিরামিশ সহ উপবাস করেছেন, পরে প্রার্থনায় অংশ নিয়েছেন। এসোসিয়েশনের উত্তর খান থানার সিনিয়র সহ-সভাপতি ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশন বলেন, পবিত্র খ্রিস্টপ্রসাদে উপস্থিত আমার প্রভু যীশুকে দুবৃত্তরা টেনে হেঁছড়ে নামিয়েছে। আমি তা সহ্য করতে পারি না। ১৫ দিনের মধ্যে দুবৃত্তদের আটকের দাবী জানাই। প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারী, ভোর চারটায় একদল ডাকাত ঢাকার উত্তখানের মাউসাইদ গির্জায় ডাকাতি করে ফাদার চঞ্চলকে বেঁধে নির্যাতন করে, নগদ ৩৫ হাজার টাকা, মোবাইল, গির্জা ঘরের তিনটি দান বাক্স থেকে টাকা নিয়ে যায়। সেই সাথে গির্জায় থাকা পবিত্র খ্রিস্টপ্রসাদের বাক্স ভেঙ্গে খ্রিস্টপ্রসাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে। ১৩ ফেব্রুয়ারী, সন্ধ্যায় উত্তরা ডিভিশনের ডিসি নাভিদ কামাল ঘটনাস্থলে ১২ সদস্যের পুলিশের টিম নিয়ে পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, থানার উদ্যোগে গির্জায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। তিনি গির্জায় নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, আমরা সর্বাত্মক আন্তরিকতা নিয়ে দুবৃত্তদের ধরার চেষ্টা করছি। সূত্র : বিডি খ্রিস্টান নিউজ