রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে হচ্ছে ঘৃণাস্তম্ভ
আসাদুজ্জামান সম্রাট : রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে একটি ঘৃণাস্তম্ভ পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে স্থাপত্য অধিদফতর ঘৃণাস্তম্ভটির খসড়া নকশা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগিরই এটি চূড়ান্ত করা হবে। নকশা চূড়ান্ত করার পর ডিপিপি তৈরি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ কর হবে। গতকাল জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান মুক্তিয্দ্ধু বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তবে ঢাকা কোন জায়গায় ঘৃণাস্তম্ভটি স্থাপন হবে তা জানাননি মন্ত্রী।
মহিলা আসন-১৩’র সংসদ সদস্য নাসিমা ফেরদৌসীর করা এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জাতীয় সংসদকে আরও জানান, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও আলবদর ও আল শামসদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশের জন্য দেশের সকল উপজেলায় ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আবাদযোগ্য কৃষি জমি প্রায় ৭৯.৪৬ লাখ হেক্টর এবং আবাদযোগ্য কৃষি জমির প্রায় ৫৩ শতাংশ চাষযোগ্য। কুমিল্লা-১ আসনের সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়ার করা প্রশ্নের জবাবে ২০১৬ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী উল্লিখিত আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ জানান।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর করা এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদকে জানান, সেনাবাহিনীর পাঁচ হাজার ৪৯৭ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের আটটি দেশে নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষী মিশনে নৌবাহিনীর ৩৪১ জন বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। মন্ত্রী জানান, বিমানবাহিনীর দুজন নারী বৈমানিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ডিআর কঙ্গোতে নিয়োজিত রয়েছে।
মহিলা আসন-৯ এর সংসদ সদস্য বেগম শিরিন নাঈম সুন্দরবনে পর্যটক আকর্ষণ করতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়টি জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেন, সুন্দরবন দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ ও হেরিটেজ সাইট। সে কারণে সুন্দরবনকে ঘিরে সরকার সব সময়ই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবনের আয়তন ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। এ বনের গাছের মধ্যে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুর, কাঁকাড়া, কেওড়া, ধুন্দল, বাইন, খলসি, বল হেতাল, হরগোজা, টাইগার ফার্ন ও গোলপাতা উল্লেখযোগ্য। মন্ত্রী আরও জানান, জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বনাঞ্চল থেকে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গাছ কাটা বন্ধ থাকবে।