প্রজননের জন্য ঝগড়া করে পা ভাঙে কাঁকড়া
মতিনুজ্জামান মিটু : বাসস্থান খাদ্য এবং প্রজননের জন্য নিজেদের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি করে পা ভাঙে কাঁকড়া। বাজারে এ কাঁকড়ার দাম নেই। পা ভাঙলে হাজার টাকার কাঁকড়া কেউ ৮০ টাকায়ও নিতে চায় না। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে বঞ্চিত হয় দেশ। পা ভাঙার হাত থেকে কিভাবে কাঁকড়াকে রক্ষা করা যায় তার কোনো উপায় এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। আলোচনায় থাকলেও বিষয়টি নিয়ে কোনো জরিপ বা গবেষণা হয়নি। সাতক্ষিরা জেলার ইল্লারচরের চিংড়ি চাষ উন্নয়ন খামারের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, পা ভেঙে প্রতি বছর সম্ভাবনাময় অনেক কাঁকড়া নষ্ট হয়ে যায়। যদিও এ বিষয়ে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান ও প্রয়োজনীয় তথ্য নেই। কাঁকড়ার উন্নয়নে বিষয়টি নিয়ে ভাবা দরকার।
মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশের নির্বাচিত এলাকায় কুচিয়া ও কাঁকড়া চাষ এবং গবেষণা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. বিনয় কুমার চক্রবর্তী বলেন, পা ভাঙলেও তার পরিমাণ খুব বেশি নয়। এতে কাঁকড়া আহরণে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। তবুও বিষয়টি নিয়ে ভাবা যেতে পারে।
২০১৬ সালে ২৫৬৪৩.৪২ মেট্রিক টন কাঁকড়া আহরণ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে আহরণ হয়েছিল ৩২২৫৫.২ মেট্রিক টন। সাতক্ষিরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুণা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে এসব কাঁকড়া আহরণ করা হয়। যার প্রায় পুরোটাই পূর্ব এশিয়ার চীন, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান, হংকং এবং আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন