আহমেদ জাফর : বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল কার্যত স্বাধীনতার ঘোষণা। ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যা শুরুর পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দিয়ে ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গতকাল সকালে ধানম-িতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি ।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাঁথা। কারণ বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের মাধ্যমে পুরো জাতি অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ যুগে যুগে বাঙালি জাতিকে শক্তি ও সাহস যোগাবে। আমাদের মহান নেতার এই ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরন্তন ও সর্বজনীন হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণটি একটি শিল্প হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাঙালি জাতির নিরন্তর লড়াই ও মুক্তির সংগ্রামে ৭ মার্চের ভাষণ অবিনাশী চেতনা নিয়ে বারবার ফিরে আসে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ আগে শুধু আমাদের সম্পদ ছিল। এ ভাষণ গতবছর জাতিসংঘের ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে নিবন্ধিত হবার পর তা সারাবিশ্বের সম্পদে রূপ নিয়েছে। এ ভাষণ এখন সারা বিশ্বের গর্ব । বাংলাদেশ এভাষণকে বুকে ধারণ করে অনেক দুর এগিয়ে যাবে। সম্পাদনা : আনিস রহমান