মাসুদ আলম : ঐত্যিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীর কোথাও অসহনীয় যানজট আবার কোথাও ছিলো ফাঁকা। গতকাল সকাল থেকে রাস্তায় গণপরিবহনও ছিল কম। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে। অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে গেছেন। তবে সমাবেশকে ঘিরে ছিল নিñিদ্র নিরাপত্তা। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকে ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করে। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে যারা আসছেন, তাদের অনেকেই মিছিল নিয়ে পায়ে হেঁটে আসেন। অনেকেই আসেন বাস-ট্রাক-মিনি ট্রাকে। আর রাজধানীর আশপাশের জেলার নেতাকর্মীসহ আসছেন বাস-ট্রাকে করেই। সেসব যানবাহন রাস্তার দু’পাশে পার্কিং করে রাখা হয়। এছাড়া কাকরাইল, মগবাজার, পল্টন, ফার্মগেট, শাহবাগ, নিউমাকের্ট, ধানমন্ডি ও সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। আবার কোনও কোনও এলাকায় রাস্তা ফাঁকা ছিল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আসার প্রবেশ পথগুলোতে বেরিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। কোথাও ডাইভারশন করা হয়। অনেক এলাকায় ট্রাফিক পুলিশকে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। গণপরিবহন কম থাকায় অনেকে বাধ্য হয়ে সিএনজি, উবার কিংবা পাঠাওয়ের মতো রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের সহযোগিতায় গন্তব্যস্থলে গেছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে অফিসগামী মানুষকে। তবে সমাবেশ শেষ হওয়ার পর গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
গুলশান শাহজাদপুরের বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, দুপুরে শাহজাদপুর থেকে পল্টন যাওয়ার জন্য তিনি অধঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন। দু’একটা বাস আসলেও উঠার কোনো পথ নেই। বাস গুলোতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল বেশি। রাস্তায় গণপরিবহন ছিল কম।
ট্রাফিক পুলিশের ধানমন্ডি জোনের এসি আকরাম হোসেন বলেন, রাজধানীতে নয়,শুধু সমাবেশ স্থলের আশপাশের কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু