বান্দার তওবা আল্লাহর পছন্দের শীর্ষে
মেহেদী হাসান সাকিফ
আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এক সুন্দর অবয়বে মানুষকে তৈরি করেছেন। দিয়েছেন এক মহামূল্যবান বিবেক। আসমান জমিনের সমস্ত মাখলুকাতের ওপর দিয়েছেন শ্রেষ্ঠত্ব। যদিও ফেরেশতারা সর্বদা আল্লাহর ইবাদতে রত আছে। তাদের যাকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তারা প্রতিনিয়ত সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ফেরেশতাদের আল্লাহ তায়ালা অবাধ্য হওয়ার ক্ষমতাই দেননি। আর আল্লাহ মানুষকে বিবেক দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। তাদের প্রতি ওহী নাজিল করে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। ভালো-মন্দ দুটি পথের মধ্যেই ইচ্ছেমত যেকোনো একটি পথ বেছে নেয়ার এখতিয়ার দিয়েছেন। এখানেই ফেরেশতাসহ সকল মাখলুকাতের ওপর মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব। দুনিয়াতে প্রেরণের অনেক পূর্বেই আল্লাহ আমাদের রূহ তৈরি করেছেন। আলমে আরওয়াহ বা রূহের জগতে আমাদের সকলের রুহকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেছিলেন, ‘আমি কি তোমাদের রব নই? আমরা সকলে বলেছিলাম, হ্যাঁ। আমরা আল্লাহর দুনিয়াতেও কালিমার অঙ্গীকার করেছি। জান্নাতের বিনিময়ে আল্লাহ মুমিনদের জানমাল ক্রয় করে নিয়েছেন। কিন্তু কখনো কখনো আমরা হেদায়াতের আলোর পথ থেকে দূরে সরে গিয়ে পাপাচারের অন্ধকারে নিজেদের নিমজ্জিত করি। কোনো কোনো পাপে সাময়িক সুখ অনুভূত হলেও পাপের পীড়া কামড় দেয় বারবার। ফলে মানসিক বিষাদ অনুভব হতে থাকে। পক্ষান্তরে তওবা করলে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে জীবন নতুনভাবে নবায়িত হয়।তওবা শব্দটিই যেন একটি মহান শব্দ। যার অর্থ ফিরে আসা। তওবার দহনেই গোলামের পাপে কলুষিত আত্মা মনিবের সঙ্গে নবরূপে মিলিত হয়। মহান আল্লাহ চান তার বান্দারাও যেন গুনাহ করার সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নেয়। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে তওবার ওপর জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। বান্দার তওবায় আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হন।