প্রেসক্লাবে বিদেশি পাখি প্রদর্শনীতে দর্শকদের ভিড়
ফাহিম ফয়সাল : বিদেশি পাখি প্রদর্শনীর শেষ দিনে দর্শকদের ভিড়ে সরব ছিল জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তন। বিশেষ করে ছোট শিশুদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। তারা বিদেশি পোষা পাখি দেখে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে।
গতকাল প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর ছিল প্রেসক্লাব। বিশেষ করে ম্যাকাওয়ের তীক্ষè চিৎকারে মুখর ছিল প্রাঙ্গণ। কেউ ঘুরে ঘুরে পাখি দেখছেন। কেউ পাখির সাথে সেলফি তুলছেন। আবার কেউ বাদাম কিনে পছন্দের পাখিকে খাওয়াচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অন্তর বলেন, এমন প্রদর্শনী দেখে কী যে ভালো লাগছে, তা বোঝাতে পারবো না। এতো সুন্দর সুন্দর পাখি আগে কখনো দেখিনি। পাখির সঙ্গে অনেক ছবি তুলেছি। এ এক ভারী মজার অভিজ্ঞতা। এমন আয়োজন সব সময় হলে ভালো হয়।
মেলার আয়োজকরা জানান, কোনো প্রবেশ মূল্য ছাড়াই প্রদর্শনীতে ঢুকতে পারছেন দর্শনার্থীরা। দেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশি পাখি চিনে না। ফলে এসব পাখি পরিচিত করতে ও পাখির প্রতি সহনশীল হতে এ মেলা আয়োজন করা হয়েছে। তারা আরও বলেন, যারা পাখি পোষার সঙ্গে জড়িত, তারা কোনোদিন কোনো খারাপ কাজ করতে পারে না। তারা নেশা ও সন্ত্রাসমুক্ত থাকেন। এ বিশ্বাসের জায়গা থেকে নতুন প্রজন্মকে মাদক ও বেকারত্বমুক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিদেশি পাখি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
‘এভিকালচার সোসাইটি অব বাংলাদেশ’ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়। এতে ৭০ প্রজাতির ৩০০ জোড়া বিদেশি পাখি প্রদর্শিত হয়।
প্রদর্শনীতে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্যারাকিট, গোল্ডেলিয়ান ফিনচ, অপালাইন র্যাম্প, ডায়মন্ড ডোভ, স্পেনডিড প্যারাকিট, আফ্রিকার লাভ বার্ড, বিভিন্ন রকমের ক্যানারি, লাফিং ডোভ ইন্দোনেশিয়ার ইংলিশ বাজরিগার, জাভা চড়–ই, গোল্ডেন ম্যানটেল্ড রোজেলা, নিউজিল্যান্ডের ঝকারিকি ইত্যাদি পাখি। এগুলোর আকৃতি ও বর্ণবৈচিত্র যে কাউকে মুগ্ধ করবে। আর দর্শনার্থীরাও লুফে নিচ্ছেন এগুলোকে কাছে নিয়ে আদর করার সুযোগটি।
সোসাইটির সদস্যরা জানায়, প্রদর্শনীতে পাখি পালনসহ নানা ধরনের পাখি পরিচিতি নিয়ে বই, পাখির খাবার ও পাখির ছবি সম্বলিত টিশার্ট বিক্রি হয়। তবে পাখি বিক্রি হয়নি। কেউ যদি পাখি কিনতে আগ্রহী হয় তবে প্রদর্শনীর পরে আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিনতে পারবেন। সম্পাদনা : আনিস রহমান