মাসুদ আলম : রাজধানীর মালিবাগে একটি ক্লিনিকে প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় ওই ক্লিনিকের এক নার্সকে এক দিনের রিমা- নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গতকাল ওই নার্সকে রিমা- চেয়ে আদালতে পাঠালে আদালত এক দিনের রিমা- মঞ্জুর করেন। তবে এ ঘটনায় ধরা পড়েনি ধর্ষক চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান। ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার মালিবাগের ‘পেইন সলুয়েশন অ্যান্ড ফিজিও থেরাপি সেন্টার’-এ থেরাপি নিতে যায় ১৭ বছরের ওই প্রতিবন্ধী তরুণী। এসময় ডা. মাহফুজুর রহমান ওই রুম থেকে সবাইকে বের করে দেয়। পরে ওই ক্লিনিকের এক নার্সের সহযোগীতায় ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে মাহফুজ। ওই তরুণী ধর্ষণের বিষয়টি তার বাবাকে জানালে তার বাবা পুলিশকে জানালে পুলিশ ওই নার্সকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর থেকে ওই চিকিৎসক মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। ওই চিকিৎসকের বাসা মগবাজারের মধুবাগ এলাকায়।
রমনা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ওই ক্লিনিকে চিকিৎসার নামে অশ্লীলতা চলছিল। এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান ও এক নার্সকে আসামি করে একটি মামলা করেছে। শুক্রবার ওই নার্সকে আটক করা হয়। তাকে একদিনের রিমা- নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । চিকিৎসককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।