শাহানুজ্জামান টিটু : আগামী ২১ ও ২২ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্যানেল চুড়ান্ত করেছে বিএনপি। সর্বসম্মতভাবে এই প্যানেল চুড়ান্ত করেছেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। দলীয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এই নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে কাদেরকে নিয়ে প্যানেল হবে তা নিয়ে মতভেদ ছিলো বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের। তবে এর অবসান ঘটিয়ে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনকে চ’ড়ান্তভাবে সর্মথন দেয় বিএনপি। যে কারণে দলীয় আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয় তার অন্যতম কারণ প্রায় নয় বছর ধরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন কমিটি গঠন করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করেছেন ফোরামের নেতারা। তবে আইনজীবী ফোরামের এই সংকটের অবসান হয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে এক বৈঠকের মধ্য দিয়ে। প্রায় তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিএনপির নেতারা দলীয় আইনজীবীদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যস্থতায় সিদ্ধান্ত হয় বন্ধ থাকা ফোরাম পুনর্গঠনের। খালেদা জিয়ার মুক্তির পরই নতুন কমিটি গঠনের তৎপরতা শুরু হবে। আর এই বিষয়ে একমত হয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা ও দল সমর্থক আইনজীবীরা। এরআগে গত মঙ্গলবার জয়নুল – খোকনের বিরোধীতা করে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে সভাপতি ও এ বি এম রফিকুল হক তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে পাল্টা প্যানেল গঠন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে দলীয় আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হলে বিএনপির সিনিয়র নেতারা হস্তক্ষেপ করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, যারা বিদ্রোহ করেছিল, তারা বলেছে যে, এটা ছিল প্রপাগান্ডা। জয়নুল আবদীন ও মাহবুব উদ্দিনকে প্রার্থী করায় যে প্রশ্ন উঠেছিল, তা এখন নেই। সবাই তাদেরকে প্রার্থী করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।
প্রায় নয় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এই ফোরামের সভাপতি হিসেবে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা, সাধারণ সম্পাদক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত