চালের দাম ৩০-৩৫ টাকার বেশি হতেই পারে না : আব্দুর রাজ্জাক
সাইদ রিপন : সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চালের দাম সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ টাকার বেশি হতেই পারে না। বর্তমানে সাধারণ কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের উৎপাদন মূল্য ২২-২৩ টাকা। এর সঙ্গে আরও দুই দফায় ৫ টাকা করে ১০ টাকা মুনাফা যোগ করে সাধারণ ভোক্তার কাছে পৌঁছা পর্যন্ত চালের দাম ৩০-৩২ টাকার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব। এজন্য দক্ষ মনিটরিং প্রয়োজন।
গতকাল রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আবদুর রাজ্জাক এই স্থায়ী কমিটির সভাপতি। চালের দাম ৪০ টাকার নিচে নামবে নাÑ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের এমন বক্তব্যের সাথে দ্বিমত জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় সাবেক এ খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মাঠপর্যায়ে আমি কৃষকদের সাথে সরাসারি কথা বলে জেনেছি ধানের বীজতলা থেকে শুরু করে ধান মাড়াই করে চাল উৎপাদন পর্যন্ত কৃষকের যে খরচ হয়, সেই হিসাবে প্রতি কেজি চালের দাম হয় ২২-২৩ টাকা। এই চালই ঢাকায় এলে হয়ে যাচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। অর্থাৎ মধ্যস্বত্বভোগীরা পরিস্থিতির ফায়দা লুটছে। যথাযথ মনিটরিং থাকলে মধ্যস্বত্বভোগীদের পর্যাপ্ত মুনাফার পরও চালের দাম ৪০ টাকার নিচে অবশ্যই রাখা সম্ভব। গুঁড়া দুধের আমদানি নিরুৎসাহিত করে দেশীয় দুগ্ধ বাজারের প্রসারে নীতি প্রণয়নেরও আহ্বান জানান আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে দুধের এত বেশি উৎপাদন হচ্ছে, যে তৃণমূল পর্যায়ে দুধ বিক্রি করা যাচ্ছে না। সঠিক নীতিমালা থাকলে দেশীয় দুধ দিয়ে গুঁড়া দুধের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী