‘শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন না পড়িয়ে মূল বই পড়াতে হবে’
মেহেদী হাসান : শিক্ষার্থীরাতো প্রশ্ন মুখস্থ করবে না তারা মুখস্থ করবে উত্তর। যেসকল অভিভাবক ও শিক্ষক এ নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করেন। কেবল মূর্খ লোকের মাথায় এসব বিষয়ই আসে। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন না পড়িয়ে মূল বই পড়ানোর কথা চিন্তা করতে হবে। মূল বই পড়ানো হলে এমসিকিউ, মৌখিক পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা যাই হোক সবই উত্তর দিতে পারবে। অতএব, এ নিয়ে যেসকল অভিভাবক উদ্বিগ্ন হয়েছে তারা বাটপার অভিভাবক। যেসকল অভিভাবক সারাদিন বাচ্চাদের পিছনে লেগে থাকে তাদের ফায়ারিং স্কোয়াডে রাখা উচিত। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে নতুন পদ্ধতি কার্যকর করার প্রক্রিয়া নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎকণ্ঠা বিষয়ে আলাপকালে জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিলেবাসের সব যদি শিক্ষার্থীদের পড়া থাকে তাহলে প্রশ্ন কি হবে তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই। শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নিলেও তারা ভালো করবে। কোনো অবস্থাতেই ছাত্ররা যেন জানতে না পারে কয়টা প্রশ্ন হবে, কি ধরনের প্রশ্ন হবে। বোর্ডের আগাম ঘোষণা দেওয়ার কিছু নাই। কোচিং সেন্টারও এতে সুযোগ পেয়ে যায়। এ বিষয়টা শুধু মূর্খ কিছু কোচিং সেন্টারের দাবি। অভিভাবকের দাবি হবে সিলেবাস কোনটা পড়বে সেটা। বোর্ড থেকে বলা উচিত এটা হলো তোমার টেক্সট বই, যাই আসুক এটা পড়লে সবই পাবা। বিশ্বের কম দেশেই আগে বলে দেয় কয়টা গোল্লা ভরাট হবে, কয়টা শূন্যস্থান পূরণ হবে। কয়টা বড় প্রশ্ন, কয়টা ছোট প্রশ্ন এটা যে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে এটা উচিত নয় বরং শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখবে কি আসছে।