কায়েস চৌধুরী : প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে আগে থেকে সিদ্ধান্ত না নিয়ে হঠাৎ করে পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিলের কথা বললেই হবে না। বহুনির্বাচনি প্রশ্ন যদি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে তাহলে এর পরিবর্তে কি করা হবে তা এখনো জানানো হয়নি। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে যেভাবে সিদ্ধান্ত বা কার্যকর করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একেকটা সিদ্ধান্তের সাথে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকরা জড়িত রয়েছে। প্রশপত্র ফাঁস ঠেকাতে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন বাতিলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আলাপকালে রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সাহেদা ওবায়েদ আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হোক আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় হোক সবগুলো মন্ত্রণালয়ে এভাবেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারা পরেরটা চিন্তা না করে শুধু নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকে। এ সিদ্ধান্ত থেকে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক সবাই খুব উৎকণ্ঠার মাঝে থাকে যে এর পরে কি হবে?। মন্ত্রণালয় এ উৎকণ্ঠা নিয়ে কোনো চিন্তা করে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকরা যেন উদ্বিগ্ন না হয় সে ভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হঠাৎ হুস-হাস করে সিদ্ধান্ত না নেওয়া উচিত বলেই আমি মনে করি। সেখানে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ব্যাপার। অন্যকোনো মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্ত হলে এতো শিক্ষার্থীর ব্যাপার থাকে না। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে কোনো সিদ্ধান্ত অনেক মানুষের অংশগ্রহণ থাকে। সিদ্ধান্ত প্রণেতারা তাদের মতোই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এতে ভুক্তভোগী হয় শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষকরাও ভুক্তভোগী হয়ে থাকে কারণ, তারা জানে না শিক্ষার্থীদের তারা কিভাবে পড়াবে।