লিহান লিমা : ইয়েমেনে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গত পাঁচ বছরে সৌদি আরবের অস্ত্র আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ২২৫ শতাংশ। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে আসে যে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখেও যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিতে হামলার জন্য সৌদির অস্ত্র আমদানির পরিমাণ উত্তরোত্তর বাড়ছে। সৌদি আরব ইয়েমেনে হামলার জন্য বেশিরভাগ অস্ত্র আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে।
সুইডেনভিত্তিক ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর চালানো তদন্তের এই ফলাফল গতকাল সোমবার প্রকাশ করা হয়। বৈশ্বিক অস্ত্র আমদানিকারক দেশগুলোর এক সমীক্ষায় দেখা যায়, সৌদি আরব বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। প্রথম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে আছে ভারত। আর বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির হার ২৫ ভাগ।
২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেনের সাবেক রিয়াদ-সমর্থিত সরকারকে আবার ক্ষমতায় বসানোর জন্য সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সামরিক সমর্থন নিয়ে ইয়েমেন আক্রমণ করে। ২০১৭ সালের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সৌদি সফরে দেশটির সঙ্গে ১১০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
অন্যদিকে ২০১৫ সালের মার্চ থেকে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র বিক্রির হার ৫০০ ভাগ বেড়ে যায়। এই পর্যন্ত সৌদি আরব যুদ্ধবিমান, প্রিসিশন-গাইডেড বোম (যা লক্ষ্যবস্তুতে নিজ থেকে আঘাত হানতে সক্ষম), মিসাইলসহ ৬.৪ বিলিয়নেরও বেশি সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করে। শুক্রবার ব্রিটেন সফরকালে সৌদি যুবরাজ দেশটির সঙ্গে ৪৮টি টাইফুন যুদ্ধবিমান ক্রয়ের চুক্তি করে। এই পর্যন্ত ইয়েমেনে সৌদি হামলার পর হাজারো নাগরিক নিহত হয় যাকে বিশ্বের সবচেয়ে জঘন্য মানবিক সংকট বলে অভিহিত করা হয়। এই সময়েই সৌদি আরব ৭৮টি যুদ্ধবিমান, ৭২টি জঙ্গিহেলিকপ্টার, ৩২৮টি ট্যাংক এবং ৪ হাজার পরিবহন সরঞ্জাম আমদানি করে। ফার্স নিউজ