বিপুল ভোটে পুতিনের জয়, নিশ্চুপ পশ্চিমা বিশ্ব
সজিব সরকার : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারো পরবর্তী ৬ বছরের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভøাদিমির পুতিন। তবে নির্বাচনে জয়ের পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনন্দন বার্তা পেলেও পশ্চিমা বিশ্ব থেকে কোন বার্তা পাননি এই সাবেক কেজিবি কর্মকর্তা। অবশ্য চীন, তুরস্ক, ইরান, ভেনেজুয়েলা, ফিলিপাইন, মিশর, কিউবা, কাজাখস্তান, বেলারুশের নেতারা পুতিনকে অভিনন্দন জানান।
রুশ নির্বাচন কমিশন জানায়, রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৯৯.৮ শতাংশ ভোটের মধ্যে পুতিন মোট ৭৬.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।’ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী পাভেল গ্রুডিনিন, যিনি পেয়েছেন মাত্র ১১.৭৯ শতাংশ ভোট। লিব্যারাল ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধান ভøাদিমির ঝিরিনোভস্কি ৫.৭ শতাংশ, ক্যাসেনিয়া সোবচাক ১.৭ শতাংশ এবং গ্রিগরি যাভলিনস্কি পেয়েছেন মাত্র ১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। এদিকে, জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেইকো মাস এবারের রুশ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে ইইউ’এর কাছে প্রশ্ন তুলেছেন।
অভিনন্দন বার্তায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ‘বর্তমানে চীন ও রাশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ কৌশলগত সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তৈরিতে এটি একটি উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি পুতিনের নতুন মেয়াদে তেহরান ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক অতীতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুসি সর্বপ্রথম পুতিনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আপনার মেধা, নেতৃত্ব, দায়িত্বশীলতা ও দায়বদ্ধতা রাশিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের পক্ষ থেকে পুননির্বাচিত হওয়ার জন্য পুতিনকে অভিনন্দন।’ কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো বলেন, ‘আপনাকে জয়ের উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহাম আলিয়েভ বলেন, ‘স্থিতিশীলতা, সংস্কার, সামাজিক উন্নয়নের জন্য আপনাকে প্রয়োজন। এই জয় আপনার উচ্চ রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও নীতির ওপর সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ।’ কাজাকাস্তানের প্রেসিডেন্ট নূরসুলতান নাজারবায়েভ বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে রাশিয়া বৃহত্তর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি ভূমিকা বৈশ্বিক অনেক সমস্যার সমাধান করেছে।’ সিএনএন, বিবিসি