এ কে আজাদের বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলেছে রাজউক
শাকিল আহমেদ : রাজউকের অনুমোদিত নকশা না থাকার অভিযোগে হা-মিম গ্রুপের মালিক এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ব্যবসায়ী এ কে আজাদের গুলশানের বাড়ির সামনের একটি অংশ ভেঙে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
গতকাল সকাল ৯টার দিকে রাজউকের পরিচালক অলিউর রহমানের নেতৃত্বে গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িটির বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পরে বাড়ির সীমানা দেয়াল ও প্রবেশ পথ ভাঙতে শুরু করেন রাজউক কর্মীরা। অভিযানের জন্য গুলশান ৮৬ নম্বর সড়কের উত্তর প্রান্তে ৮৪ নম্বর সড়কের মুখে এবং ৮৭ নম্বর সড়কের মুখ থেকে ৮৬ নম্বর সড়কের মাঝামাঝি পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই বাড়ির সামনের দেয়াল, গাড়ি বারান্দা ও একটি ব্যালকনির কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। পরে মালামাল বের করে নিতে সময় দেওয়া হয়। অভিযান চলাকালে ওই বাড়ি থেকে ব্যাগ ও বিভিন্ন সামগ্রী হাতে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় কয়েকজনকে। বাড়ির সামনের খোলা জায়গাতেও বিভিন্ন আসবাবপত্র ও জিনিসপত্র রাখতে দেখা যায়। বেলা ১টার দিকে বিরতিতে যাওয়ার আগে ১ বিঘা ৯ কাঠার ১৩ ছটাক জমির একাংশে তৈরি ওই দোতলা বাড়ির পার্কিং শেড, নিচতলার ওয়েটিং রুমের কিছু অংশ, দোতলার একটি বেড রুম এবং ড্রইং রুমের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়।
অলিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের টাস্কফোর্স এসে এ বাড়িতে রাজউক অনুমোদিত কোনো নকশা পায়নি। এটি একটি অবৈধ ভবন, রাজউকের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা বাড়িটি ভেঙে ফেলছি।
বাড়ি ভেঙে ফেলার আগে কোনো নোটিস দেওয়া হয়েছিল কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে রাজউকের এই পরিচালক বলেন, আমাদের অথোরাইজড লোক এসে দেখেছে, নকশা চেয়েছে। এটা আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম।
রাজউকের ভূমি শাখার কর্মকর্তারা বলেন, গুলশানের ওই প্লট ১৯৬০ সালে মো. ইউনূস নামে এক ব্যক্তিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে হস্তান্তর সুত্রে মালিক হন এ কে আজাদ। তার আগে ওই প্লটের মালিকানা ছিল একটি বৃটিশ প্রতিষ্ঠানের হাতে। তখন ওই দোতলা দালানে একটি স্কুল ছিল।
নকশার বিষয়ে রাজউকের আপত্তি নিয়ে জানা যায়নি, তবে বিকালে ম্যাজিস্ট্রেট চলে যাওয়ার পর আজাদের শ্যালক শোয়েবুল ইসলাম সাংবাদিকদের সামনে আসেন। তিনি বলেন, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমাদের কাছে ডকুমেন্ট চেয়েছে, আমরা ডকুমেন্ট দিয়েছি। তারা চলে গেছেন। আপনারা দেখেছেন তারা দুপুরে বিরতিতে যাওয়ার পর আর কিছু করেনি। আর আসে কি না দেখেন। সম্পাদনা : আনিস রহমান