নাজাতের জন্য অল্প আমলই যথেষ্ট
মুনশি মুহাম্মদ আবু দারদা
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বুসরিন (রা:) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি হুজুর (সা.) এর কাছে এসে জিজ্ঞেসা করলেন। হে আল্লাহর রাসুল! আমি নফল ইবাদত করতে অনেক পছন্দ করি কিন্তু দুর্বল হওয়ার কারণে আদায় করতে পারি না। সুতরাং আমাকে এমন কোন আমল বলে দিন, যার উপর সহজে আমল করতে পারবো এবং যার মাকবুলিয়াত আল্লাহর কাছে অনেক বেশি অর্থাৎ কম আমলে ছওয়াব বেশি, করতেও সহজ। আর সেই আমল কোন সময়ের সাথে নির্দিষ্ট না! তখন হুজুর (সা:) বললেন তোমার মুখে সবসময় আল্লাহর জিকির করতে থাকো (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, হে মুমিনেরা তোমরা বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করো । বিশেষ করে সকাল সন্ধা। অন্য জায়গায় বলেন, অন্তরের প্রশান্তি একমাত্র আল্লাহর জিকেরই দিতে পারে। আল্লাহর জিকির শাহাদাতের থেকেও উত্তম। হাদীস শরীফে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিত: একবার হুজুর (সা:)কে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন উম্মত সব থেকে উত্তম অর্থাৎ অনেক ছওয়াব কামায় করতে পারে এবং কিয়ামতের দিন আল্লহর নিকট উঁচু মর্যাদার অধিকারী হয়? উত্তরে বললেন, যে ব্যক্তি বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করে। তারপর জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসুল! যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে তার থেকেও বেশি দামি? তখন হুজুর (সা.) বললেন, হ্যাঁ। এরপর বললেন যদি কোনো মুজাহিদ নিজের তরবারি দ্বারা কোন কাফের বা মুশরেককে আঘাত করে। এমনকি আঘাতের কারণে তরবারি ভেঙ্গে যায় এবং রক্তাক্ত হয়ে যায়। তার থেকে আল্লাহর জিকিরকারী বেশি উত্তম! (তিরমিযী) এই হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে আল্লাহ তায়ালার জিকিরকারী শাহাদাতের থেকেও উত্তম! সাহাবা কেরাম (রা:) জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল সত্যি তাদের মর্যাদা আল্লাহর নিকট অনেক?উ ত্তরে বললেন হ্যাঁ ওরা অনেক উত্তম মর্যাদার লোক হবে।
আর যে অন্তর আল্লাহর জিকির থেকে গাফেল থাকে। তার উপর শয়তান আক্রমন করে।
হাদীস শরীফে হযরত আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত: শয়তান বনী আদমের অন্তরে মধ্যে বসে থাকে। যখন মানুষ আল্লাহর জিকির করতে থাকে শয়তান তখন পালয়ণ করে। আর যখনই আল্লাহর জিকির থেকে উদাস থাকে তো শয়তানে ওসওয়াসা ঢালতে থাকে। (বুখারী) এই হাদীসে সারমর্ম এটা: যখন মানুষের অন্তর জিকির থেকে উদাস থাকে তখন শয়তান ওয়াসওসা দিতে থাকে। যখন সে আল্লাহর জিকিরে লেগে যায় তখন শয়তান ভাগতে থাকে অর্থাৎ সে শয়তানের ধোকা থেকে বেচে যায়। তখন তার দ্বারা গোনাহের কোন কাজ প্রকাশ পায় না। আল্লাহ আমাদের সব ধরনের শয়তানের ধোকা থেকে হেফাজত করুন।আমিন।