লর্ড কার্লাইলকে নিয়োগ বিএনপির নৈতিক স্খলন : ওয়ালিউর রহমান
আশিক রহমান : ব্রিটিশ আইনজীবী, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে সাজা ভোগকারী মীর কাসেম আলীর লবিয়িস্ট লর্ড কার্লাইলকে বেগম খালেদা জিয়ার মামলার আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ বিএনপির নৈতিক স্খলন। তাদের এই সিদ্ধান্তে আমি হতাশ ও দুঃখিত। এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওয়ালিউর রহমান।
আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, লর্ড কার্লাইল যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলী ও অন্য যুদ্ধাপরাধীর হয়ে কাজ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার প্রয়াস চালিয়েছিলেন। নানারকম কুৎসা রটানোর চেষ্টা করেছিলেন। এমন একজন মানুষকে বেগম খালেদা জিয়ার মামলার আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ। এটি কখনোই ভালো উদাহরণ নয়। লর্ড কার্লাইল খালেদা জিয়ার পরামর্শক হিসেবে যুক্ত হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। বিট্রিশ এই আইনজীবী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, বেগম খালেদা জিয়ার বিচারেও কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আইনি কাঠামো এত শক্তিশালী এবং ভালো যে, সেখানে বেস্ট আইনি প্র্যাক্টিস মূল্যায়নে সহায়তা করে। চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। আমাদের বিচার ব্যবস্থা স্বচ্ছ-শক্তিশালী। পৃথিবীর বিভিন্ন আইন বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রশংসিত। আমেরিকার অ্যাম্বাসেডর-প্রসিকিউটর স্টিফেন রাফলও বলে গেছেন, আমাদের জুডিসিয়ারির শক্ত ভিত্তি আছে। একই সঙ্গে আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাও আছে তার।
এক প্রশ্নের জবাবে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আমার খুব দুঃখ লাগে, বেগম খালেদা জিয়ার বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে একটি গোষ্ঠী রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। যে যত রাজনীতিই করুক না কেন, আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। এবং সেভাবেই যেন আইনি প্রক্রিয়া চলতে দেওয়া হয়, তাহলেই দেশে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মনে করেন এই বিশ্লেষক।